আর মাসদেড়েক পরে অপেক্ষাটা বেড়ে হয়ে যেতে পারতো ১১ বছর। চলতি সফরে কোনো ম্যাচ না জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১১ বছর ধরে জয়হীন থাকতো ভারত। সেটি হতে দেননি বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা।
অ্যাডিলেডে ৪ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি জিতে দীর্ঘ দশ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জেতার গৌরব অর্জন করলো কোহলির দল। ২০০৮ সালে পার্থ টেস্টে শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতেছিল ভারত।
আর এবার ফেবারিটের তকমা গায়ে নিয়ে খেলতে নেমে ভারত জয় পেয়েছে ৩১ রানের ব্যবধানে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ২৯১ রানে।
পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য করতে হতো ২১৯ রান, ভারতের প্রয়োজন ছিলো ৬টি উইকেট। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের ২০০ রানের আগেই সাজঘরে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে ফেলে সফরকারীরা। কিন্তু শেষ তিন উইকেটে ছোট ছোট জুটি গড়ে তিনশর কাছাকাছি পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
আগের দিন ৩১ রানে অপরাজিত থাকা শন মার্শ এদিন ফেরেন ৬০ রান করে, দলীয় ১৫৬ রানের মাথায়। আশার প্রতীক হয়ে টিকে থাকা অধিনায়ক টিম পেইন সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন দলের ১৮৭ রানের মাথায়। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তখনো জিততে বাকি ১৩৬ রান, উইকেট বাকি কেবল ৩টি।
প্রথমে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিনস, পরে প্যাট কামিনস ও নাথান লিয়ন এবং শেষে নাথান লিয়ন ও জশ হ্যাজেলউড মিলে ব্যাট হাতে জাগিয়ে তুলেছিলেন স্বাগতিকদের জয়ের আশা। অষ্টম উইকেট স্টার্ক-কামিনস ৪১, নবম উইকেটে কামিনস-লিয়ন ৩১ ও শেষ উইকেটে লিয়ন-হ্যাজলউড যোগ করেন ৩২ রান।
শেষের চারজনের ব্যাট থেকেই আসে সর্বমোট ১০৭ রান। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাচে মোট ৮ উইকেটে (২+৬) নেয়া লিয়ন। এছাড়া কামিনস ও স্টার্ক- উভয়েই করেন ২৮ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে হ্যাজলউড খেলেন ১৩ রানের ইনিংস।
ভারতের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামী। অন্য উইকেট যায় ইশান্ত শর্মার পকেটে। তবে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ১২৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১ রান করে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছেন চেতেশ্বর পুজারা।