পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীতাকুন্ড শিম চাষের জন্য বিখ্যাত। চলতি মাসের শুরুতেই বিভিন্ন হাট বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন সবজি সুস্বাদু শিম। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে প্রায় শত কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার টনেরও বেশি শিম উৎপাদন হয়ে থাকে।
শিমের ভরা মৌসু চলছে। অসংখ্য পাইকার শিম কেনার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসেন সীতাকুন্ডে। কৃষকদের ক্ষেত ও বিভিন্ন বাজার থেকে পাইকারিতে শিম কিনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যান। অসংখ্য কৃষক শিম চাষ করে প্রতি মৌসুমে আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। প্রতিবছরের মত এবারও শিমের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে পাইকারদের কাছ থেকে জানা গেছে ।
সাগর উপকূলের বেড়িবাঁধ, জমির আইল, মহাসড়কের উভয় পাশে ও পাহাড়ি এলাকাসহ উপজেলার সর্বত্রই শুধু শিম আর শিম। ট্রেনে চলাচল করার সময় রেল লাইনের উভয় পাশে শিমের ক্ষেত লক্ষ্য করা যায়। গত বছর অকাল বৃষ্টিতে শিমের ফুল নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছিল। এবার পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসায় শিমের উৎপাদন বেশি হবে। পুঁটি, ছুরি, কার্তিকোটা, লইট্টা, বাটাসহ অন্তত ৫ ধরনের শিমের আবাদ হয়েছে। তবে ছুরি জাতের শিম সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা অন্যান্য শিমের চেয়ে বেশি।
পৌর সদরের এয়াকুবনগর শেখপাড়া গ্রামের কৃষক মো. নুরুছোফা বলেন, ভাদ্র মাসে ৪০ শতক জমিতে অন্যান্য বছরের মত চলতি মৌসুমেও শিম চাষ করেছি। বাঁশের কঞ্চি, শ্রমিক মজুরিসহ শিম উৎপাদনে শেষ সময় পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। শিমের বাজার ও উৎপাদন ভাল হলে কমপক্ষে এক লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। অপরদিকে, ২ নম্বর বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল ব্লকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, এ ব্লকে ৬০ হেক্টর জমিতে অন্তত ৪০০ কৃষক শিম চাষ করেছেন। ঘন কুয়াশা না থাকলে শিম উৎপাদনের সু-বাতাস বইবে কৃষকের ঘরে ঘরে।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাফকাত রিয়াদ বলেন, গত বছর আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসায় শিম উৎপাদন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, এ বছর ৬০ হাজার টনেরও বেশি শিম উৎপাদন হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকারও বেশি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সীতাকুন্ড উপজেলা শিম চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতি বছর উপজেলা থেকে শত কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়। বিভিন্ন প্রজাতির শিম চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।