Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুন্ডে গ্রীষ্মকালীন শিম বাজারে

শেখ সালাউদ্দিন, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:২১ এএম

সীতাকুন্ডে রুপবান শিমের দাম অনেক ভাল। তাই বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রীষ্মকালীন সু-স্বাদু সবজি শিমের উৎপাদনে খুশিতে এখন কৃষক। চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ শিমের আবাদ হচ্ছে। তবে এ শিমকে এখানকার স্থানীয়রা রুপবান শিম বলে থাকে। উপজেলায় বর্তমানে ৩০ হেক্টর জমিতে ২৪৫ জন কৃষক রুপবান শিমের আবাদ করেছেন। খুচরা মূল্যে শিম বিক্রি করে পৌরসভাস্থ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক পরিবারগুলো অনেক লাভবান হচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত ভাবে এ শিমের আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি এ শিমের আবাদ হয়েছে ২নং বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল বøকে। সরেজমিন কৃষকদের সাথে আলাপকালে জানা য়ায়, গ্রীষ্মকালীন রুপবান শিম খুচরা মূল্যে প্রথমে ১২০টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করে ছিলেন তারা। বর্তমানে ৮০/৯০ টাকা করে বিক্রি করছেন।এতে তারা আর্থিক ভাবে অনেক লাভবান হচ্ছেন।এ বøকে দায়ীত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিপাস কান্তি চৌধুরী বলেন, এখানকার উচুঁ জমিগুলোতে কৃষকরা পূর্বে ধানসহ নানারকম সবজির আবাদ করতেন। বর্তমানে ওসব জমিগুলোতে তারা লাভজনক সবজি গ্রীষ্মকালীন রুপবান শিমের আবাদ করেছেন। শিমের মূল্য ভাল বলে এ বøকে ১০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১০০জন কৃষক কমর বেঁধে রুপবান শিম আবাদে নেমে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে শিমের সুনামের কথা শুনে পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট বাজারে পাইকার শিম ক্রয়ের জন্য ছুটে আসছেন। বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন টেরিয়াইল বøকের কৃষক মো. রবিউল হোসেন বলেন, প্রথমে কৃষি অফিসের পরামর্শে শিমের আবাদ শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি। সে হিসেবে বৈশাখ মাসে ৮০শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন রুপবান শিমের আবাদ করা হয়। তিনি বলেন প্রথম অবস্থায় ১২০ টাকা কেজি হিসেবে শিম বিক্রি করেছি। বর্তমানে ৮০/৯০টাকা কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে। শিমের শেষ মৌসুম আশি^ন মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন বলে ধারণা করছেন। একই বøকের কৃষক মো. নুরনবী বলেন চলতি মৌসুমের বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে ৩০শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন রুপবান শিমের আবাদ করেছি আমি। বাঁশের কন্সি ও শ্রমিকসহ এপর্যন্ত খরচ পড়েছে আমার প্রায় ২৫ হাজার টাকা। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ৮০/৯০ হাজার টাকার মত শিম বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।এবিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্ত সুভাষ চন্দ্র নাথ বলেন, শিম আবাদ জনপ্রিয় করার জন্য মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের উদ্বোদ্ধ করনের মাধ্যমে এ কর্মসুচী চালু রয়েছে। শিম চাষে জৈব বালাই নাশক তথা ফেরোমান ফাঁদ ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বোদ্ধ করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে ও সমতল স্থানে বিস্তৃতভাবে কৃষকরা লাভজনক সবজি গ্রীষ্মকালীন শিমের আবাদ করেছেন।এদিকে সীতাকুÐ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সাফকাত রিয়াদ বলেন, উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন রুপবান শিমের আবাদ শুরু হয়েছিল ২০১০ সালে। গত বছর ২০১৮ সালে ১৫ হেক্টর জমিতে ১০৫ জন কৃষক এ শিমের আবাদ করেন। বর্তমানে তা বেড়ে চলতি বছর ২০১৯ সালে এ শিমের আবাদ দাড়িয়েছে ৩০হেক্টরে। আর এখন কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ২৪৫ জন। বর্তমানে শিমের উৎপাদন ধরা হয়েছে ৪০০ মেক্ট্রিক টন। উপজেলার বড়দারোগার হাটের টেরিয়াইল বøক,১নং সৈয়দপুর, বাড়বকুÐ, মুরাদপুর ইউনিয়ন ও পৌরসদরের শেখ পাড়া,এয়াকুবনগর, মহাদেবপুরসহ প্রভৃতি স্থানে সু-স্বাদু সবজি রুপবান শিমের আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি এ শিমের আবাদ হয়েছে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল বøকে। কৃষক শিম বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিম বাজার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ