বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সা’দ পন্থীদের হামলার ঘটনার বিচার দাবিতে গতকাল দুপুরে টঙ্গী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্থানীয় জোবায়ের পন্থী আলেম উলামাগণ। সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার আসামীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনাসহ ৬দফা দাবী পেশ করা হয়। আগামী ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা টঙ্গীর সকল মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেয়া হয়। দাবি বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ হলে পরবর্তীতে আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। জোবায়ের পন্থীর নেতৃত্বে থাকা স্থানীয় আলেম মুফতি মাসুদুল করিম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর শনিবার ইজতেমা মাঠে তাবলীগের সাথী ও মাদরাসার ছাত্রদের উপর মাওলানা সা’দ অনুসারী বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম ও নাসিম গং এর কর্মীরা ইজতেমার ময়দানের গেইট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে নগ্ন হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটায়। এ সময় হামলাকারীরা ভিতরে মাদ্রাসা ছাত্রদের পাঠ্যপুস্তক ও পবিত্র কোরআন শরীফ তছনছসহ অগ্নিসংযোগও করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় প্রশাসনের ভ‚মিকা ছিল নীরব ও রহস্যজনক। পুলিশ দাঁড়িয়ে দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জোবায়ের অনুসারী স্থানীয় আলেম মুফতী মাসুদুল করিম বলেন, সা’দ পন্থীরা বিনা উস্কানিতে ওই দিন জোবায়ের পন্থীদের উপর লাঠিসোটা, দা-বটি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটায়। তিনি আরো বলেন, সূরা সদস্যদের কোন মতামত ছাড়াই মাওলানা সা’দ নিজেকে আমির বলে এতদিন দাবি করে আসছেন। অথচ কোন পরামর্শ সভাতেই তাকে কখনও আমির বানানো হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ইজতেমা মাঠে হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফুল ইসলাম ও সাহাবুদ্দিন নাসিমসহ টঙ্গী ও উত্তরা থেকে নেতৃত্বদানকারী এবং হামলার সাথে জড়িত সকলকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। টঙ্গীর আগামী বিশ^ ইজতেমা পূর্ব ঘোষিত ১ম ধাপ, ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারী ২০১৯ইং এবং ২য় ধাপ ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ইং তারিখে অনুষ্ঠানের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুফতী মাসউদুল করীম, মাওলানা জাকির হোসাইন, মাওলানা ইউনুস শাহেদী, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মুফতী মুহাম্মদ আবু বকর কাসেমী, মাওলানা ইসমাইল ওরফে আলমগীর, মাওলানা আব্দুর রাকিব আকন্দ, মুফতী মুহাম্মদ ইয়াকুব, আলহাজ¦ মাওলানা ক্বেরামত আলী, মাওলানা ইকবাল মাসুম, মাওলানা রিয়াজুল ইসলাম মল্লিক, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক, আবু উবাইদা, তারেক মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
এদিকে, নরসিংদী জেলা তাবলীগের সা’দপন্থী আমীর মীর মহসিন ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে নরসিংদী জেলা কওমি মাদরাসা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার সকালে নরসিংদী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আয়োজিত পরিষদের এক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এই আবেদন জানান। বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতাকালে পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার বলেন, গত শনিবার টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে হামলাকারীদের অন্যতম নেতা হচ্ছেন, নরসিংদীর সা’দপন্থী আমির মীর মহসিন। ওয়াসিফের নির্দেশে এই মীর মহসিন নরসিংদী থেকে সন্ত্রাসী নিয়ে ইজতেমার ছাত্রকর্মী ও মুসল্লিদের উপর হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। এছাড়া আগামী শুক্রবারের জুমায় নরসিংদী জেলার প্রতিটি জামে মসজিদে টঙ্গী ইজতেমায় হামলার ঘটনা বর্ণনা করে মুসলিদেরকে অবহিত করার জন্য মসজিদের ইমামদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দত্তপাড়া মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা বশির উদ্দিন, বাশাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাশেম এবং নরসিংদী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলী আহমেদ হোসাইনী প্রমূখ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।