মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মান সরকার নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে ছোট দলগুলো, এমনকি যাদের সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই তাদেরকেও রাষ্ট্রীয় অনুদান দেয়। প্রচারণা চালানোয় যাতে শুধু বড় দলগুলোই এগিয়ে না থাকে, এক্ষেত্রে ছোট দলগুলোও যাতে কিছুটা সমতা আনতে পারে সেজন্য এই অনুদান দেয়া হয়। খবর ডয়েচে ভেলে।
ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি এই অনুদান পেতে হলে ছোটদলকে আগের নির্বাচনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হবে। সেই ভোটের হিসেবে দলটিকে অনুদান দেয়া হয়, যা দলটির নিজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি হতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচারণার জন্য অনেক টাকার দরকার হয়। পোস্টার, টিভি বিজ্ঞাপন আর মিটিং-মিছিল আয়োজনের খরচ জোগাড় করা বড় দলগুলোর জন্য সহজ। কিন্তু ছোট দলগুলো যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেজন্য সহায়তা করে জার্মানি। ছোট দলগুলোকে সহায়তার এই উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও তবে সেখানে সম্প্রতি দাবি উঠেছে, বড় দলগুলোর নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অর্থের উৎস সম্পর্কে আরো স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার।
জার্মানিতে দলগুলো কিভাবে তাদের নির্বাচনের অর্থ সংগ্রহ করে এ বিষয়ে প্রতিবেদনে জানানো হয়, জার্মানির বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর জন্য নানাভাবে অর্থ পেয়ে থাকে। বিভিন্ন দলের সদস্যরা দল থেকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও আলাদাভাবে দান গ্রহণের সুযোগ আছে। জার্মান আইন অনুযায়ী, একটি দলকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৫০ হাজার ইউরোর বেশি অর্থ দান করলে সেটা ঘোষণা করতে হয়। অর্থাৎ, দলটি কার কাছ থেকে একবারে এই টাকা পেয়েছে, সেটা জনগণ যাতে জানতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হয়। কিন্তু পঞ্চাশ হাজার ইউরো বা তার নীচে যদি দান করা হয়, তাহলে সেটা আলাদাভাবে জানাতে হয় না।
নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে জার্মানির অনেক প্রতিষ্ঠান তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে একবারে টাকা না দিয়ে সারা বছর জুড়ে টাকা দেয়। একটি দল এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে ক্ষমতায় যাওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহায়তা নিয়েছে, তাদের জন্য কাজ করার একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। সাধারণ ভোটারদের সেটা না জানিয়ে করা হলে তা এক ধরনের প্রতারণার মধ্যেই পড়ে। ফলে, জার্মানির এই আইন পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায়, গত বছর জাতীয় নির্বাচনের সময় সবচেয়ে বেশি অনুদান পেয়েছিল চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউ ও এফডিপি। তাদের তুলনায় গ্রীন পার্টি ও শ্রমিকবান্ধব এসপিডি'র অনুদানের পরিমান অনেক কম ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।