পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কঠোর সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। এ সময় ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো তার দেশের স্বর্ণ রফতানির অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন। গত মাসে ভেনিজুয়েলার স্বর্ণ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতির অভিযোগে ভেনিজুয়েলার কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মাদুরো সরকারের অর্থনৈতিক লেনদেনেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এতে দেশটিতে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে দুই ন্যাটো মিত্র তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কেও টানাপড়েন চলছে। এরদোগান বলেন, পুরো একটি জাতিকে শাস্তি দিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান হতে পারে না। বিশ্ব বাণিজ্য নীতিকে অগ্রাহ্য করে এমন কোনো পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব না। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের নেতৃবৃন্দের একটি ফোরামে এরদোগান যখন এসব কথা বলছিলেন, নিকোলাস মাদুরো তখন তার পাশেই ছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে ভেনিজুয়েলায় চরম মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এতে দেশটির খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করেই এরদোগান বলেন, তার বন্ধু মাদুরো বিভিন্ন দেশের নির্দয় আঘাত ও অর্থনৈতিক আততায়ীদের নাশকতার শিকার হয়েছেন। এসবের জবাবে তিনি ভেনিজুয়েলার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চান। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি থেকে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত কোনো সংস্থা কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো কারও লেনদেন নিষিদ্ধ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি বছর ভেনিজুয়েলা থেকে মুদ্রাসংশ্লিষ্ট না এমন স্বর্ণ সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে তুরস্ক। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।