পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন। নাসিম বলেন, ডিসেম্বর মাসে বাঙালির বিজয় ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করা যায় না। এবার জাতীয় নির্বাচনও ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ। আমাদের এই লড়াই হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, এই লড়াই হচ্ছে কিছু নীতিহীন-আদর্শহীন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিশ্বাস করি, বাঙালি জাতি অপশক্তির বিরুদ্ধে আবারও বিজয় অর্জন করবে। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে মানুষ রাজনীতিতে দেখতে চায় না দাবি করে নাসিম বলেন, নির্বাচনের পর মানুষ দেখতে চায়, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ছাড়া কোনও রাজনৈতিক শক্তি বাংলাদেশে থাকবে না। এই লক্ষ্যে আমরা সবাই একসঙ্গে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, আজ বাংলাদেশের সব মুখোশধারী রাজাকার-খুনি-যুদ্ধাপরাধী-দÐিত অপরাধী ও দুর্নীতিবাজরা জোট বেঁধেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে। অন্যদিকে, উন্নয়নকামী ও শান্তিকামী জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এরকম কঠিন একটা অবস্থায় আগামী নির্বাচন একটা রাজনৈতিক যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ১৪ দল ঐক্যভাবে জয়লাভ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যদি উন্নয়ন ও শান্তির পথে রাখতে চান, তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং ভূমিকা রাখুন। একইসঙ্গে সব মুখোশ ফেলে দিয়ে সেই রাজাকার খুনি, দÐিত অপরাধী, দুর্নীতিবাজসহ যেসব অপরাধী ঐক্যফ্রন্টে জোট বেঁধেছে, তাকে প্রত্যাখান করুন।
মতবিনিময় সভায় গত ১০ বছরে সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে পেশাজীবী সম্প্রদায়ের নিষ্ঠা ও ভূমিকার কথা তুলে ধরে ইনু বলেন, দুইটি কারণে এটি সম্ভব হয়েছে প্রথমত, শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বের মাধ্যমে রাজনৈতিক শান্তি এনেছেন। দ্বিতীয়ত, তার উন্নয়নের গণমুখী পরিকল্পনা যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে। অপরাধীদের নেতৃত্বে কিন্তু গণতন্ত্র হয় না।
ইনু আরও বলেন, এই ১০ বছরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আইনের শাসনে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। সামরিক শাসন ও সাম্প্রদায়িকতার ধারা থেকে আমরা সম্প্রীতির অসাম্প্রদায়িক ধারায় উত্তরণের পথে আছি। একইসঙ্গে জঙ্গি-সন্ত্রাস থেকে শান্তির পথে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা অনুন্নয়ন ও দারিদ্র্য থেকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে হাঁটছি। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি মো. সামাদ, প্রক্টর গোলাম রব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদ কামাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।