পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংককে চিকিৎসাধীন নির্মাতা-অভিনেতা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ব্রেন স্ট্রোক করে দেশের হাসপাতাল ভর্তি ছিলেন গুণী নির্মাতা, অভিনেতা, সাহিত্যিক আমজাদ হোসেন। ২৮ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে। ব্যাংকক থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথায় এমনটি জানিয়েছেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি বলেন, বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আমরা তিনদিন ধরে আছি। এই তিন দিনে বাবার ব্রেনে যে সমস্যা ছিল তা এখন নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রেসার এবং রক্ত চলাচল ভালো আছে।
তবে কিছু সমস্যা নতুন করে তৈরি হয়েছে বলে জানান দোদুল। তিনি বলেন, বাবার শরীরের বাইরে যেমন হাতে, পায়ে ইনফেকশন হয়েছে। এটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। শরীরের ভেতরেও কিছু ইনফেকশনের কথা বলেছেন তারা। এটাই এখন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছেন চিকিৎসকরা।
তবে এই সমস্যাটা গুরুতর নয় বলে জানিয়ে দোদুল বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। ব্যাংককে চিকিৎসার এই কাজে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে রয়েছেন তার দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল এবং সোহেল আরমান।
গত ১৮ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হলে গুরুতর অবস্থায় আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথমদিন থেকেই তাকে রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে।
২০ নভেম্বর আমজাদ হোসেনের দুই ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল ও সোহেল আরমান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী সেসময় আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭)। পরে তিনি নয়নমনি (১৯৭৬), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), ভাত দে (১৯৮৪) নির্মাণ করে প্রশংসিত হন।
গোলাপী এখন ট্রেনে ও ভাত দে চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
এ ছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।