পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করদাতা বাড়ছে। গত দুই বছর ধরে রিটার্ন দাখিল ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৪ সালে যেখানে করদাতা ছিল ১২ লাখ। মাত্র ৪ বছরে করদাতার সংখ্যা তিনগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ লাখে উত্তীর্ণ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবন প্রাঙ্গণে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (আন্তর্জাতিক করনীতি) কালিপদ হালদার বলেন, গত বছর করদাতা ছিল ৩২ লাখ, এ বছর তা ৩৮ লাখ হয়েছে। ২০১৪ সালে করদাতার সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। মাত্র চার বছরে করদাতার সংখ্যা তিনগুণের বেশি হয়েছে। প্রকৃত কর আদায় ১০ বছরে পাঁচগুণ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য করদাতা ১ কোটিতে উত্তীর্ণ করা। সামাজিক ভারসাম্য ও দায়িত্ব বজায় রাখার জন্য আয়কর দিতে হয়। করদাতাদের ভেতর আয়কর নিয়ে আগে নেতিবাচক প্রবাদ ছিল। কিন্ত আয়কর মেলা ও দিবস পালনের মাধ্যমে তা দূর হয়েছে।
এনবিআরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন কর আদায়ের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার। কর আদায়ের পরিমাণ যদি দশগুণ বাড়ানো সম্ভব হয় তাহলে আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে যাব। নানা সংস্কারের মাধ্যমে করবান্ধব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে এনবি আর কাজ করছে। তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল গত দুই বছর ধরে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে। সক্রিয় করদাতা এখন ১৫ লাখ, যখন তা ১ কোটি হয়ে যাবে তখন দেশের আরও বেশি উন্নয়ন হবে। কর অনুপাত ১২ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলে অর্থনীতি মজবুত হবে। সেবা প্রদানকে জনবান্ধব করতে এনবিআরকে ভবিষ্যতে আরও ডিজিটাল করা হবে।
আয়কর প্রদানে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর দিবসটি পালন করে থাকে এনবি আর। মেলার মতো এবার দিবসটির ¯েøাগান ‘উন্নয়ন ও উত্তরণ, আয়করের অর্জন’। আর প্রতিপাদ্য ‘আয়কর প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায় বিচার ও ধারাবাহিক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ’।
আয়কর দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার কোনো শোভাযাত্রা হয়নি। ভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ ছিল এনবি আর। অন্যান্য বছরের মতো এবারও আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে দেশের মিডিয়া জগতের তারকারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, কর প্রদানে সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিশেষত তরুণদের। আর তরুণদের প্রথম ভোট যেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হয়।
গায়ক শুভ্র দেব বলেন, বাংলাদেশে এখন কর প্রদানের পরিবেশ খুবই ভালো। নিজেদের টাকা দিয়ে আমরা পদ্মা সেতু করতে পারলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু টাওয়ারও করতে পারব। আর তা করতে চাইলে সবাইকে কর দিতে হবে। চিত্রনায়িকা চম্পাও তার বক্তব্যে সবাইকে কর দেয়ার আহ্বান জানান।
চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন কর দেয়া বাহাদুরি, কর দেয়ার মাধ্যমে আমিও তা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি। পদ্মাসেতুর কোনো একটি রড আমার টাকায় কেনা তা নিয়ে আমি মনেপ্রাণে গর্ববোধ করি। কর দেয়া অভ্যাসের ব্যাপার। তাই সবাইকে এই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এনবিআর সদস্য (আয়কর) জিয়া উদ্দিন মাহমুদসহ এনবিআরের কর্মকর্তারা আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।