পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা কিংবা দন্ড হাইকোর্টে স্থগিত হলে দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ রইচ উদ্দিনের একক বেঞ্চ এই অভিমত দেন। একইসঙ্গে যশোর দুই আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার ছয় বছরের সাজা ও দন্ড স্থগিত করে দিয়েছেন আদালত। ফলে এখন থেকে হাইকোর্টে কারো দন্ড স্থগিত করার পর প্রার্থীর নির্বাচন করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
একই সঙ্গে সাবিরা সুলতানার নির্বাচনে প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই। আদালতে সাবিরা সুলতানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে এবিএম বায়েজিদ। পরে আমিনুল ইসলাম জানান, সাবিরা সুলতানার দন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন জানালে আপিল বিভাগ তা নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের একক বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন। আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়ে বলেছেন, কোনো ব্যক্তির দন্ড আপিল বিভাগে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার সাজা বা দন্ড চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে না। তবে আপিল চলাকালে তার সাজা বা দন্ড স্থগিত হলে তিনি নির্বাচনের জন্য অযোগ্য হবেন না। বিচারিক আদালতে দন্ডিত ব্যক্তির সাজা কিংবা দন্ড স্থগিত করার ক্ষমতা হাইকোর্ট বিভাগের রয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণে বলা হয়। এই আদেশের পর থেকে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চান তারা হাইকোর্টে সাজা বা দন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে জানান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।
গত ২৮ নভেম্বর বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তি ২ বছরের অধিক সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর ফলে বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দন্ড স্থগিত করা হলে কিংবা আপিল চলাকালে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আপিল বিভাগে দন্ড স্থগিত কিংবা বাতিল হলে ওই ব্যক্তির নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাধা থাকবে না। ফলে হাইকোর্টের দুইটি পৃথক বেঞ্চ সাজা বা দন্ড স্থগিত নিয়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দেয়ায় নির্বাচন কমিশন কোন আদেশ অনুসরণ করবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, যাদের ক্ষেত্রে আদালত ইতোমধ্যে দন্ড স্থগিত করেনি তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তবে আজকের এই আদেশের পর যারা এই আদেশের আলোকে হাইকোর্টে দন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করবেন তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
দুদক দায়ের করা মামলায় যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানাকে গত ১২ জুলাই ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক তিন বছর কারাদন্ডাদেশ দেন। একইসঙ্গে দুটি ধারায় পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।
এরপর গত ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ-৭ এর বিচারক আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর এ মামলায় তিনি গত ৬ আগস্ট তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে সাবিরা সুলতানা তার সাজা ও দন্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন জানালে তার শুনানি গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি মামলাটি একক বেঞ্চ পাঠিয়ে দেন। যার ধারাবাহিকতায় এ মামলার শুনানি নিয়ে সাবিরা সুলতানার সাজা ও দন্ড স্থগিত করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে সাজা বা দন্ড স্থগিত করলে বিচারিক আদালতে দন্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের সাবিরা সুলতানা তার ৫৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকা সম্পদের হিসাব জমা দেন দুদকে। পরবর্তী সময়ে দুককের অনুসন্ধানে দেখা যায় ৪৫ লাখ টাকার সম্পদের বিষয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেয়াসহ ১ কোটি ৭৮ হাজার ১৩৫ টাকার সম্পত্তি অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন সাবিরা সুলতানা। যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। ওই ঘটনায় গত ২০১০ সালের সৈয়দ আহমেদ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।