Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘হোয়াইটওয়াশ হবে স্পেশাল’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

১৫ টেস্ট খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল সেই ২০০৯ সালে। তবে সেটি তাদেরই মাটিতে, তাও আবার দুই ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। তারপর আর হোয়াইটওয়াশ তো দূরের কথা জয় পেতেই কেটে গেছে আরো ৯টি বছর। চলতি সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে আবারো বাংলাদেশ শিবিরে ফিরেছে সেই সুখস্মৃতি। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মনে করেন, দেশের মাটিতেও একই ফল সম্ভব।
চট্টগ্রাম টেস্ট ৬৪ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। আজ থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই ম্যাচে ড্র করলেই সিরিজ নিশ্চিত। জেতার নিরাপদ এই পথটা জানা থাকলেও অধিনায়ক চান আরো একবার হোয়াইটওয়াশ উদযাপন করতে, প্রয়োজন হলে হাঁটবেন একটু কঠিন পথেই। ঢাকা টেস্টে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করতে চান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, ‘অবশ্যই জেতার জন্য খেলব আমরা। যদি ওইরকম কোনো পরিস্থিতি আসে, যখন (হার এড়াতে) ড্র করার সম্ভাবনা আছে, তখন সেটার চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে প্রথম লক্ষ্য অবশ্যই জেতার জন্য খেলা।’
গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সেই যন্ত্রণা ফিরিয়ে দিতে উন্মুখ সাকিব, ‘বাংলাদেশের জন্য স্পেশাল হবে, যদি আমরা ২-০তে জিততে পারি। আমরা ২-০তেই সিরিজ জিততে চাই। এর জন্য যা কিছু করা দরকার, যেভাবে প্রস্তুুতি নেওয়া দরকার আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। যদি সেটা কোনোভাবে না হয় তাহলে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য যেন ১-০তে সিরিজ জিতি, কারণ, মূল লক্ষ্য সিরিজ জেতা। কিন্তু আমরা রক্ষণাত্মক খেলে সিরিজ জিততে চাই না। আমরা চাই, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলি আর ২-০তে সিরিজ জিতি।’ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মনে করেন, দেশের মাটিতেও একই ফল সম্ভব, ‘অবশ্যই এই সুযোগ আছে। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
সিরিজ জেতার বাড়তি কোনো চাপ নেই বাংলাদেশ দলে। আছে টানা তৃতীয় টেস্ট জয়ের আত্মবিশ্বাস। দলের মানসিক অবস্থা আশা দেখাচ্ছে সাকিবকে, ‘গত দুই দিন ড্রেসিং রুমে বসে যা দেখেছি, সবাই শান্ত মেজাজে আছে। খুবই ভালো আবস্থানে আছে, একটা ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দলের যতটুক আত্মবিশ্বাস থাকা দরকার ঠিক ততটাই আমাদের আছে। আমি মনে করি, ড্রেসিং রুমের পরিবেশ খুবই ভালো অবস্থায় আছে। টেস্ট চলার দিনগুলোতে আমরা এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে চাই।’
পরিস্থিতি যাই হোক টেস্টেও বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা উচ্চাভিলাষি শট খেলতে পছন্দ করেন। চট্টগ্রাম টেস্ট জিতলেও আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে উইকেট খোয়াতে দেখা গেছে অনেকবার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নেমেই বড় শট খেলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সাকিব নিজেও। তবু মিরপুর টেস্টের আগে অধিনায়ক বললেন, টেস্ট হোক বা টি-টোয়েন্টি এই চিরায়ত স্বাভাবিক অ্যাপ্রোচে বদল আনার পক্ষে নন তারা, ‘আমি সবসময় অনুভব করি যার খেলার ধরন যেটা সেটা থেকে বের না হতে। আনলেস খুবই প্রয়োজনীয়তা আসে দলের জন্য। আমি মনে করি যে কারো কোন ন্যাচারাল গেইম প্ল্যান, সেটা যেন বদল না করে। আমি সবসময় সেটা প্রেফার করি। বীরেন্দ্র শেবাগ টেস্ট ম্যাচে যদি প্রথম বলে যদি চার মারার সুযোগ পায় তাহলে সেটাও চার মারতো, সেটা টি-টুয়েন্টিতেও একই, ওয়ানডেতেও একই ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই অ্যাপ্রোচটা থাকা খুবই জরুরী। যেই ব্যাটসম্যানটা টি-টুয়েন্টি কিংবা ওয়ানডে ম্যাচে প্রথম বলে চার মারার জন্য দাঁড়ায়, সেই ব্যাটসম্যানকে আমি কখনই চাইব না টেস্ট ম্যাচে ফার্স্ট বল ডিফেন্ড করুক কিংবা ছেড়ে দিবে। আমি চাইবো ফার্স্ট বলে ঐরকম মাইন্ড সেট নিয়েই যাক যে সে বল পেলে চার মেরে দিবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ