বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। অথচ ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখার দৈনদশা দেখে চক্ষু চড়কগাছে ওঠার মতো। স্কুলটিতে অংকের শিক্ষক আছে ৫/৬ জন। অথচ এসএসসি’র টেষ্ট পরীক্ষায় ১১২ জন শিক্ষার্থী অংকে ০১ পেয়েছে। এছাড়া ০ (জিরো) পেয়েছে ৩৮ জন শিক্ষার্থী। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনশ’র বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বছর এসএসসির টেষ্ট পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ২৮০ জন। এর মধ্যে সকল বিষয়ে পাস করে মাত্র ৪৫ জন। অথচ ২৪২ জনকে এসএসসির ফরম পুরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সত্যতা স্বীকার করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি গণিতের শিক্ষকদের বার বার সতর্ক করেছি। তারপরও তারা মনোযোগী হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, ছাত্ররা ক্লাসে আসে না। তারা সর্বক্ষন মোবাইল ও ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের বার বার বলা হলেও তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারেনি। তবে অভিভাবরা স্কুলের গণিতের শিক্ষকদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী তুলেছেন। তাদের ভাষ্য বেশি ছাত্র ফেল করার কারণে শিক্ষকদের ভাগ্য খুলে গিয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে এসএসসি পরীক্ষা দেওার সুযোগ করে দিয়েছে। বিষয়টি ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব জানান, এবার এসএসসির ফরম পুরণ নিয়ে বোর্ডের কড়া নির্দেশনা ছিল। টেষ্টে একটি বিষয়ে ফেল করলেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে না। তারপরও যে বিষয়ে ছাত্ররা ফেল করবে সেই বিষয়ের শিক্ষকদের পানিশমেন্ট দেওয়ার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে তার দায়ভার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককেই নিতে হবে। তিনি বলেন গণিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে মনে করবো খালিশপুর বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অযোগ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।