Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দম্পতির অস্ত্র-মাদক ব্যবসা ৯ বছরে শতকোটি টাকা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা করে গত ৯ বছরে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মোঃ গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার। অথচ ৯ বছর আগে চাপাইনবাবগঞ্জের একটি গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান মোঃ গোলাম ফারুক স্ত্রী আফরোজা আক্তারকে নিয়ে কাজের সন্ধানে শূন্য হাতে গাজীপুরে আসেন। এর পর কাজের সন্ধানে বেশি ঘুরতে হয়নি তাদের। অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন তারা। আর কয়েক বছরেই শূন্য হাতে ঢাকায় আসা গোলাম ফারুক দম্পতি শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। গতকাল মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম।
গত ২৬ নভেম্বর সোমবার রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে ফারুক ও তার স্ত্রী আফরোজা আক্তার এ্যানীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানিলন্ডারিং আইনে ৮টি মামলা রয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট টেকনাফ থানার একটি মানিলন্ডারিংয়ের মামলা করা হয়েছিলো। সে মামলায় গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোলাম ফারুক ও তার স্ত্রী এক সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি গ্রামে থাকতেন। তারা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন না। স্বামী-স্ত্রী ২০০৯ সালে শূন্য হাতে ঢাকায় আসেন। পরে ঢাকার গাজীপুরে একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। সে পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা অস্ত্র ব্যবসা শুরু করেন। এর পাশাপাশি তারা একটি গার্মেন্টস ব্যবসা খুলে বসেন। এর কিছুদিন পর তারা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তারা প্রথমে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ভুট্টোর চাচা গুড়া মিয়ার কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতেন। পরে এ গোলাম ফারুক নুরুল হক ভুট্টো এবং তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতে থাকেন। ইয়াবার টাকায় একপর্যায়ে তারা শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। তিনি এলেজা এক্সপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি মেশিনারি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন। যাতে তার প্রায় এক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও তার এবং স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক টাকা সে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, মাদক-অস্ত্র ব্যবসার টাকা দিয়ে তারা (স্বামী-স্ত্রী) বাড়ি, জমি ও মাইক্রোবাস কিনেছেন। ফারুকের নামে ডিএমপির তেজগাঁও, উত্তরা পূর্ব থানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর থানা এবং একই জেলার শিবগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন থানায় ৮টি মাদকের মামলা রয়েছে। তদন্তকালে তাদের শতকোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা শিগগির বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মোল্লা নজরুল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদক

২২ অক্টোবর, ২০২২
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ