নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা ফুটবল ম্যাচকে ঘিরে কতটা উত্তেজনা ছড়াতে পারে? বিশেষ করে সেই উত্তেজনা যখন সহিংস রূপ নেয় সেটাকেই বা কী বলা যেতে পারে। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে শহরটির দুই নগর প্রতিদ্ব›দ্বীর মধ্যে কোপা লিবার্তাদোরেসের ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে গত তিনদিন যা ঘটে গেল বা এখনো যাচ্ছে তা সম্ভবত আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে।
ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অংশ নিতে এস্তাদিও মনুমেন্টালে গমনের পথে রিভার প্লেটের সমর্থকদের দ্বারা আক্রন্ত হয় বোকা জুনিয়র্স খেলোয়াড়দের বহনকরী বাস। বাসের জানালার কাচ ভেঙ্গে ফেলা হয়। বোকার অধিনায়কসহ অনেক খেলোয়াড় আহত হন। দুজন চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। পরিস্তিতি সামাল দিতে মরিচের গুড়া স্প্রে করে পুলিশ। তাতে বোকার খেলোয়াড়রাও আহত হন। কাঁদুনি গ্যাস, লাঠিপেটা এমনকি গণআটকের মত কঠিন পথে হাটে দাঙ্গা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে শনিবারের ম্যাচটি ২৪ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময়েও পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় দ্বিতীয়বারের মত ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তিতে ম্যাচটি কবে কখন অনুষ্ঠিত হবে তা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। ফিফার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রিভার প্লেট এমন আচরণ করলে বোকাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। কিন্তু কোন কিছুতেই পরিস্তিতি স্বাভাবীক হচ্ছে না। উল্লেখ্য, সুপার ক্ল্যাসিকোর এই ম্যাচে সফরকারী দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি না থাকার পরও এমন নেক্কারজনক পরিস্তিতির তৈরী হলো।
পুরো এই সহিংস ঘটনার জন্য একটি মাফিয়া গোষ্টিকে দ্বায়ী করেছেন রাজধানীর মেয়র হোরাসিও রড্রিগুয়েজ। প্রতিশোধ নিতেই নাকি এই ঘটনার উদ্ভব। তিনি বলেন, ঘটনাটা ঘটেছে বারা ব্রাভা নামক এক মাফিয়া গোষ্টির বাড়ি ঘেরাও করার পরের দিন। গোষ্টিটি রিভারপ্লেটের অন্ধ ভক্ত, আড়ালে থেকে তারাই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। ফাইনাল ম্যাচকে সামনে রেখে তাদের ১০ মিলিয়ন পেসো (আর্জেন্টাইন মুদ্রা) ও ৩০০ টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। হোরাসিও বলেন, ‘সমস্যাটা হলো বারা ব্রাভা- যারা ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই ঘটনার জন্য তারাই দ্বায়ী।’ লাতিন আমেরিকান ফুটবল বিশেষজ্ঞ টিম ভিকারি বলেন, বারা ব্রাভা পৈশাচিক উপায়ে তাদের অর্থ উপার্জন করে। এর মধ্যে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি অন্যতম।
ম্যাচের একটি মাত্র টিকিটের জন্য কি হচ্ছে না সেখানে। এক খবরে বলা হয়েছে একজন একটি টিকিটের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। একজন নাকি কালোবাজার থেকে টিকিট কিনেছেন ছয় অঙ্কের মূল্য দিয়ে! টুর্নামেন্টের সভাপতি টুইটার প্রফাইল পিকচার পাল্টে সেখানে সেঁটে দিয়েছেন, ‘আমার কাছে কোন টিকিট নেই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।