বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক জশনে জুলুসে লাখো মানুষের ঢল নামে। সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহর নেতৃত্বে ৪৭তম এ বর্ণাঢ্য জুলুসকে (র্যালি) ঘিরে বুধবার বন্দরনগরীর প্রতিটি সড়কে ছিল নবী প্রেমিকদের জনস্রোত। জুলুস শেষে নগরীর ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল মাহফিল।
জুলুস ও মাহফিলে নগরীর ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ শরিক হয়। প্রতিটি সড়কে জনতার স্রোত গিয়ে মিশে মাহফিলে। ‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রেসালাত ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)’-সহ বিভিন্ন শ্লোগানে সমগ্র মহানগরীকে সকাল থেকেই মুখরিত করে তোলেন তৌহিদী নবীপ্রেমী জনতা। তাদের হাতে হাতে ছিল আল্লাহু আকবর এবং চাঁদ-তারা খচিত সবুজ পতাকা, মুখে ছিল নাতে রাসুল (সা.)। জশনে জুলুস উপলক্ষে বন্দরনগরী জুড়ে এক পবিত্রময় পরিবেশ তৈরি হয়।
মাহফিলে ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) তাৎপর্য ও গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে বক্তাগণ বলেন, যাকে সৃষ্টি না করা হলে কিছুই সৃষ্টি হতোনা, আল্লাহর সেই সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ এবং নেয়ামত লাভের শোকরিয়া হিসেবে এ খুশি উদ্যাপন। এমন কোন আরব দেশ বাকি নাই, যেখানে ১২ রবিউল আউয়াল স্বীকৃত নয়। বরং আমাদের উচিত এ দিনটিকে কেন্দ্র করে নবীপ্রেমিক জনতার মধ্যে যে ঈমানি জজবা দেখা যায় একে কাজে লাগিয়ে দেশ, জাতি ও ইসলামের বৃহত্তর প্রয়োজনে এর সদ্ব্যবহার করা। সৈয়দ মুহাম্মদ হামিদ শাহ বলেন, এই জশনে জুলুস ঈমানদারদের ঈমানি জজবা এবং অকৃত্রিম নবীপ্রেমের নিদর্শন। বর্তমানে বিচ্ছিন্নতার কারণে দুর্বল হয়ে পড়া বিশ্ব মুসলিমের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এ জুলুস ইসলামি ঐক্যের প্রতীক হতে পারে।
সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহর সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মঈনউদ্দীন খান বাদল এমপি, সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম, স্থানীয় কাউন্সিলর মুহাম্মদ মোরশেদ ও মুহাম্মদ মোবারক আলী। গাউসিয়া কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ারুল হক ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক হাফেজ আনিসুজ্জামান আল-কাদেরীর সঞ্চালনায় মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ, শায়খুল হাদীস মুফতি মুহাম্মদ ওবাইদুল হক নঈমী, প্রিন্সিপাল মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী, মুফতি কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, মুহাদ্দিস হাফেজ আশরাফুজ্জামাল আল-কাদেরী, আন্জুমান রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, জমিয়তুল ফালাহর খতিব সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।