বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টেস্ট পরীক্ষা উত্তীর্ণ না হওয়া এক ছাত্রকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিল-আপ করতে দেয়নি। পরীক্ষার অনুমতি না পাওয়ার ক্ষোভে জিন্নাত আলী নামের এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগের ৩ কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এ সময় তারা খাবার না থাকায় এক দোকানদারসহ দুই জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুস আলী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলছে দীর্ঘদিন ধরে সোহেল রানা, তাজমুল ও মিনাজ নামের তিন যুবক ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র জানান, এবার এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ৮১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ৪৬ জন শিক্ষার্থী সব বিষয়ে কৃতকার্য হয়। বাকি শিক্ষার্থী এক, দুই ও তিন বিষয়ে ফেল করেছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেলকৃত শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ না করানোর নির্দেশ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় ছাত্রলীগ নামধারী অনুপমপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল আহমেদ, চাপরাইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তাজমুল এবং লিটন গাজীর ছেলে মিনাহাজ অস্ত্র নিয়ে স্কুলে প্রবেশ করে। তারা অকৃতকার্য কয়েকজন শিক্ষার্থীদের ফরম পুরনের জন্য চাপ দেয়। শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলীও কয়েকজন ছাত্রকে মারপিট করে আহত করে। এসময় তারা স্কুলের পাশে দোকানে গিয়ে খাবার চাই। তাদের পছন্দের খাবার দোকানে না থাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে দোকানদার লিটন হোসেন কুপিয়ে জখম করে। একই সময় চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হকের ভাই আব্দুল হাই বিষয়টি জানতে চাইলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে গ্রামবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু মালিতা জানান, অভিযুক্ত যুবকরা ছাত্রলীগের কোন পদে নেই এবং তারা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত না। স্থানীয়রা তাদের বখাটে হিসেবেই চেনে। অভিযুক্তদের আটক করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুস আলী জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। পুলিশের অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত ৩ যুবককে আটকের জন্য।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুর্বণা রানী সাহা জানান, তিনি খবর পেয়ে স্কুলে যান এবং শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন। অভিযুক্ত ৩ যুবককে আটককের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।