বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লাখো শোকার্ত মানুষের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহর প্রথম নামাজে জানাজা। আজ সকাল ১০.৫০ টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই জানাজা।
বেলা আড়াইটায় দ্বিতীয় জানাজা নিজ গ্রাম সদরের ভারুয়াখালীতে হবে। সকাল সাড়ে দশটায় জানাজার সময় থাকলেও ২০ মিনিট পরে জানাজা সম্পন্ন হয়।
এতে ইমামতি করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা মাওলানা আবদুল হালিম।
জিএম রহিমুল্লাহর জানাযাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার আদরের ভাই জিএম রহিমুল্লাহর মৃত্যুর সংবাদ বিশ্বাস হয়নি। কিভাবে তিনি এত অল্প সময়ে চলে যাবেন ভাবিনি। জানাজায় বিশাল এই সমাবেশ তার সততা, জনপ্রিয়তার বড় প্রমাণ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আপনাদের জিএম রহিমুল্লাহ ছিলেন ছোট মানুষ। হয়ে গেলেন জাতীয় নেতা। তিনি কক্সবাজারবাসীর গৌরব ছিলেন। তার মতো যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ কম মেলে। সরকার অর্ধশত মামলায় তাকে নির্যাতন করেছে। চাপে রেখেছিল তাকে।
জামায়াত নেতার জানাজায় দল মত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ অংশ গ্রহণ করে। জানাজার নির্ধারিত স্থান কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ হলে তা দশটার আগেই কানায়-কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম, পৌরপ্রিপ্যারেটরী উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, আশপাশের সড়ক উপসড়কে শোকাহত জনতা অবস্থান নেয়। যে যেখানে ছিল সেখান থেকে জানাজার নামাজে অংশ নেয়।
এতে অংশ নেন, এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, কউক চেয়ারম্যান লে: ক: ফুরকান আহমদ, কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহানসহ বিভিন্ন দলমত ও শ্রেণী পেশার লাখো শোকার্ত মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।