নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের নারী ফুটবলারদের পাশে এসে দাঁড়ালো ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলাঙ্গনে সাবিনা খাতুন, মিশরাত জাহান মৌসুমী, মারিয়া মান্ডাদের চলার পথকে মসৃণ করতেই আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো তারা। আগামী ছয় বছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ও বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবল দলের পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নিলো বেসরকারী এই ব্যাংকটি। গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দেশের নারী ফুটবল দলের নতুন পৃষ্ঠপোষক ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান রেশাদুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম হায়াতুজ্জামান।
এক যুগেরও বেশী সময় আগে দেশের নারী ফুটলারদের পথচলা শুরু। শুরুতে কেবল বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণই মুখ্য ছিলো। তবে দিন বদলের পালায় এখন আর অংশগ্রহণ নয়, লাল-সবুজের মেয়েরা সাফল্য পেতেই উদগ্রীব। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে তারা দিয়েছে এএফসি ও সাফের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে সফলতা পেয়ে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬, ১৮ পর্যায়ে একাধিক শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ কিশোরী দল। শুধু তাই নয়, লাল-সবুজের জাতীয় দলের মেয়েরাও দেশকে দেখাচ্ছে স্বপ্ন। গেল বছর শিলিগুঁড়িতে সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে সাবিনা খাতুনদের রানার্সআপ হওয়াটা এরই প্রমাণ রাখে।
তবে সব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে অর্থ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য পেতে প্রয়োজন ভালো মানের কোচের অধীনে দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণের। সঙ্গে ফুটবলারদের দিতে হবে নানা সুযোগ-সুবিধা। আর এসব করা বাফুফের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আর্থিক সমস্যা নিরসনের জন্য এবার বাফুফের পাশে এসে দাঁড়ালো ঢাকা ব্যাংক। তারা বাংলাদেশ জাতীয় ও সব বয়সভিত্তিক মহিলা দলের যাবতীয় খরচ বহন করবে। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান রেশাদুর রহমান বলেন, ‘নারী ফুটবলাররা আমাদের গর্ব। তারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছে। তোমরা এগিয়ে যাও। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘নারী ফুটবল দেশকে প্রতিনিধিত্ব করে বাফুফেকে নয়। তাই তারাই এমন সম্মান পাওয়ার যোগ্য।’ তবে পৃষ্ঠপোষকতা বাবদ ছয় বছরে ঢাকা ব্যাংক কত টাকা দিচ্ছে তা বলতে রাজি নন বাফুফে সভাপতি। তার কথায়, ‘পৃষ্ঠপোষকতার টাকার অংকটা এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়। ঢাকা ব্যাংক আমাদের জাতীয় ও সব বয়সভিত্তিক মহিলা দলের স্পন্সর হয়েছে। আমি মনে করি ছয় বছরের দায়িত্ব নেয়া অনেক বড় একটা ব্যাপার। এ জন্য নতুন স্পন্সরকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’ নারী ফুটবলারদের বেতনাদির বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তাদের বেতন দেয়া হবে। আপাতত তিনজন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। সামনে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। তাদের পুষ্টিকর খাবারের মানও আমরা বাড়াবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।