মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সঙ্কট সমাধানে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকও ব্যর্থ হয়েছে। গত রোববারের ওই বৈঠকে একচুলও ছাড় দেয়নি কোনো পক্ষ। নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব ফিরে চেয়েছেন বরখাস্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। তিন তিনবার অনাস্থা ভোটে হারলেও ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি সিরিসেনার নিয়োগ করা নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। গত বৃহস্পতিবারের পার্লামেন্ট অধিবেশনে স্পিকার কারু জয়সুরিয়া জানিয়ে দিয়েছেন, দেশকে সাংবিধানিক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়ে দু’জনের একজনকেও প্রধানমন্ত্রী মানবেন না তিনি। ফলে এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় কার্যত কোনো সরকারও নেই, প্রধানমন্ত্রীও নেই।
২৬ অক্টোবর সঙ্কট শুরুর পর প্রথমবারের জন্য সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন ক্ষমতা দখল ‘গেম’-এর তিন প্রধান খেলোয়াড় সিরিসেনা, বিক্রমাসিংহে ও রাজাপাকসে। খেলোয়াড় তিনজন হলেও পক্ষ প্রধানত দুটি। সিরিসেনা-রাজপাকসে বনাম বিক্রমাসিংহে। কিন্তু কোনো পক্ষই ছাড় না দেয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এ আলোচনাও ব্যর্থ হয়। সঙ্কটের ১৯ দিন পর এর সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানান সিরিসেনা। বৈঠকে যোগ দিতে দলের সিনিয়র নেতা ও সহযোগীসহ প্রেসিডেন্ট ভবনে যান বিক্রমাসিংহে ও রাজাপাকসে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। বৈঠকে প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ও মন্ত্রিসভা ফিরিয়ে দিতে আহ্বান জানায় বিক্রমাসিংহের দল। সেইসঙ্গে ফের আস্থা ভোটে অংশ নেয়ার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় রাজাপাকসেকে।
বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল অ্যালায়ান্সের (ইউএনএ) এমপি ও সিনিয়র নেতা লাক্সমন কিরিয়েলা বলেন, ‘রাজাপাকসেকে অবশ্যই আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। নতুবা তিনি কোনোক্রমেই সরকার চালাতে পারবেন না।’ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলে স্বীকার করেছে সিরিসেনা ও রাজাপাকসের জোট ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়ান্স (ইউপিএফএ)। তবে আগের আস্থা ভোটগুলো সঠিক ও সাংবিধানিকভাবে হয়নি বলে অভিযোগ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই প্রশ্নে বৈঠকে ফের আগাম নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছে ইউপিএফএ। বৈঠকের পর রাজাপাকসের ছেলে এমপি নামাল রাজাপাকসে বলেন, বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। সঙ্কট সমাধানে এখন তারা আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ বাড়াবেন। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা ফের আগাম নির্বাচনের কথা বলেছি। যাতে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন।’ দুই দলের বিপরীত অবস্থানের ব্যাপারে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু বলেননি প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘সোমবার ফের অধিবেশন শুরু হবে। পার্লামেন্ট যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে চলে সে ব্যাপারে একমত হয়েছে সব দল।’ সূত্র : এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।