নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার হ্যাটট্রিকে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে আবাহনী ৪-২ গোলে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে। বিজয়ী দলের হয়ে সানডে তিনটি ও আফগান ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি একটি করে গোল করেন। জামালের হয়ে দু’গোল শোধ দেন বদলি মিডফিল্ডার দিদারুল আলম।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেললেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউ। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বারবার রং বদলিয়েছে। আর এই রং বদলানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে ফেডারেশন কাপের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে গেল আবাহনী। এই জয়ে আবাহনী ফাইনালে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখী হবে আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও বসুন্ধরা কিংস ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে।
আবাহনী-শেখ জামাল ম্যাচটি আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু হলেও প্রথম সুযোগটি পায় শেখ জামালই। ম্যাচের ২৪ মিনিটে জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের কাট ব্যাকে কেউ শট নিতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে আবাহনীর নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার শট লক্ষভ্রষ্ট হলে সমর্থকরা হতাশ হন। ৩৯ মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট করে শেখ জামাল। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে সলোমন কিংয়ের ফ্রি কিকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে শওকত রাসেলের হেড ধরে ফেলেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
৫২ মিনিটে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্টের দূরপাল্লা শট বাইরে চলে যায়। তিন মিনিট পর আবাহনী গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সেইনে বোজাং। তিনি প্রতিপক্ষ দলের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ছোট ডি-বক্সে বল নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। গোলরক্ষক সোহেলকে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও শট নিতে পারেননি এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৬ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় আবাহনী। এসময় বাঁ দিক থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রি-কিক ডি-বক্সে পড়ার পর ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। তড়িৎ শটে গোল করে সুযোগ কাজে লাগান আফগান ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি (১-০)। ৬৪ মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে শ্যামল মিয়া চিজোবাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চিজোবা (২-০)। পিছিয়ে পড়া শেখ জামাল প্রথম গোল পায় ম্যাচের ৭৯ মিনিটে। এসময় সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন দিদারুল (১-২)।
৮২ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে হেডে গোল করে ব্যবধান বাড়ান চিজোবা (৩-১)। দু’মিনিট পর ডি-বক্সের জটলায় বল পেয়ে দিদারুল শেখ জামালের ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন (২-৩)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি জামালের। ৮৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন চিজোবা (৪-২)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।