পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটের ৬টি আসনে নির্বাচনী মাঠে ত্রিমুখী সঙ্কটে রয়েছেন মহাজোটের এমপিরা। সঙ্কট উত্তরণে বাস্তবিক অর্থে নেই কোন উপায়। এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় রাজনীতিক সচেতনরা। প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন করতে হলে মহাজোটকে নতুন মুখে ভরসা করতে হবে। নচেৎ ভোটের আগেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যাবে মহাজোট প্রার্থীদের। কারণ সরকার বিরোধী জনমত, নিজ দলে বিরোধীতাসহ নিজদের বির্তকিত কর্মকান্ডে এখন কোনঠাসা।
মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসনে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। নিজে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নিবেন না তিনি। তার সহোদর জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমনে এ আসনে নির্বাচন করবেন বলেও জনসম্মুখে প্রচারনা চালিয়েছেনও তিনি । তারর্পও মুহিতের নাম নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ঘুরেফিরে উঠে আসছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আখের গুছিয়ে নিয়েছেন মুহিতের আশপাশের দলের কতিপয় নেতা। তাদের নিয়ন্ত্রণে মুহিতকে রাখতে গিয়ে, বঞ্চিত করে রেখেছেন অন্য নেতাদের। এর নেতিবাচক প্রভাবেও দলের নেতাকর্মীদের নিকট ম্লান হয়ে পড়েছেন মুহিতের সহোদর সম্ভাব্য প্রার্থী ড. একেএম আব্দুল মোমেনও। সেকারণে মুহিতে চরম ঝুঁকিতে থাকবে আগামী নির্বাচনে মহাজোট।
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে আ্ওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ দাপটে হাতছাড়া হয় বিগত সময়ে। ভাগ্যক্রমে জাপা প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া এমপি হ্ওয়ার গৌরব অর্জন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী ও তৎকালীন এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে বঞ্চিত করে এ আসনে তুলে দেয়া হয় জাতীয় পার্টির হাতে। ভোটের বাজারে লাঙ্গলের কোন অবস্থান না থাকলেও একতরফা নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এহিয়া হয়ে যান মহাজোটের এমপি। এবার ফের শফিকুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দলের মনোনয়ন যুদ্ধে নেমেছেন। অন্তত ৫০ভাগ সুষ্ট ও অবাধ নির্বাচন হলেও বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নিখোঁজ ইলিয়াস পত্মি তাহসিনা রুশদি লুনাকে টক্কর দেওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে মহাজোটের যেকোন প্রার্থীর জন্য।
সিলেট-৩ (দক্ষিণসুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) আসনে নৌকার অবস্থা ভালো হলেও বর্তমান সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সমাদ চৌধুরী কয়েছকে সহ্য করতে পারছে না দলের কোন সারির নেতারাই। প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা দিয়ে মাঠে অবস্থান নিয়েছেন তারা। নৌকার অবস্থান যতটা ভালো ঠিক তার বিপরীত অবস্থান এই সংসদ সদস্যের। দীর্ঘদিনের নানা ক্ষোভ নিয়ে বসে আছেন স্থানীয় আ্ওয়ামী লীগের নেতারা। স্থানীয় একাধিক নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান ন্ওেয়ার অভিযোগ রয়েছে এমপি কয়েছের বিরুদ্ধে। কর্মী বান্ধব নতুন জনপ্রিয় মুখ মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে ভালো করতে পারবে নৌকা এই আসনে।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তা-গোয়াইনঘাট) আসনে নৌকার প্রার্থী ইমরান আহমদ। সরকার বিরোধী তাপ, দলের বঞ্চিত স্থানীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ তার বিরুদ্ধে থাকলেও বিকল্প প্রার্থী নেই দলে। ইমরান বিরোধী নৌকা সমর্থকরা এক্ষেত্রে ভরসা করবে বিএনপির প্রার্থীর উপর। পাথুরে সম্পদে ভরপুর এ আসনটিতে লুটপাটের বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে।
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনে জাতীয় পাটি নেতা সেলিম উদ্দিন মহাজোটর এমপি হওয়ার সুযোগ পান। আসনটি তার নিজের এলাকা নয়, দ্বিতীয়ত এই আসনে দলের কোন সাংগঠনিক ভিত্তিও নেই । অপরদিকে, আ্ওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রিয় একাধিক নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তাদের কেউ মনোনয়ন পেলে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার সুযোগ পাবে দলের নেতাকর্মীরা।
সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিায়নীবাজার) সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এবার তাকে টেক্কা দিতে দলের অন্তত ১২জন মনোনয়ন নিয়েছেন। নাহিদ সফল শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান করে দিয়েছেন গোলাগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসীকে। মহাজোটের পক্ষে তার চেয়ে শক্ত কোন প্রার্থী এই আসনে নেই। ধারনা করা হচ্ছে, নাহিদ মনোনয়ন পেলে অনেকাংশে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের নেতাকর্মীরা কাজ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।