রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জমে উঠেছে মনোয়নযুদ্ধ। চলছে দলীয় প্রতীক পাওয়ার লড়াই। এ মনোনয়ন পাওয়ার লড়াইয়ে কম যাননি সাতক্ষীরা, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহের প্রার্থীরাও। সাতক্ষীরার ৪টি আসন ৮৬ জন প্রার্থী, মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে নৌকার ২৭ ও ধানের শীষের ২৪ জন, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আ.লীগের ৪, বিএনপির ৭ ও অন্যান্য দলের ৪ জন, ফেনীর ৩টি আসনে আ.লীগের ২৩ বিএনপির ৫০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইলে পাঁচ দলের ৩২ জন ও কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির ১৩ জন মনোনয়নযুদ্ধে শামিল হয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
সাতক্ষীরা থেকে আক্তারুজ্জামান বাচ্চু জানান, সাতক্ষীরার চারটি আসনে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৮৬ জন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। এদের মধ্যে অনেক নতুন মুখেরও দেখা মিলেছে। সাতক্ষীরা-১ আসনে (তালা-কলারোয়া) আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়র শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক এমপি বি, এম নজরুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, সরদার মুজিব, ফিরোজ আহমেদ স্বপন, শেখ নূরুল ইসলাম, লায়লা পারভীন সেজুতি, কামরুজ্জামান সোহাগ, আহসান কবীর টুটুল, অ্যাডভোকেট মোহামম্মদ হোসেন প্রমুখ। বিএনপি থেকে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভীন বকুল, বিএনপি নেতা আক্তারুল ইসলাম, আতিকুজ্জামান রিপন, আরিফুজ্জামান মামুন প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন, (এরশাদ) সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক এম মুনসুর আলী। জাসদের (ইনু) শেখ মো. ওবায়েদুস সুলতান, ওয়ার্কাস পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের এফ, এম আছাদুল হক প্রমুখ। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াত নেতা মো. ইজ্জত উল্লাহ মনোনয়ন পত্র কিনেছেন।
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন বর্তমান এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, আ.লীগ নেতা মো. নজরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান বাবু, আবু সাঈদ, আ,হ,ম তারেক উদ্দিন, কাজী এরতাজা হাসান, আবু মুসা প্রমুখ।
বিএনপির জেলা সভাপতি রহমাতুল্লাহ পলাশ, বিএনপি নেতা মো. আব্দুর রউফ, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) জেলা সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা মাতলুব হোসেন লিয়ন, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার কাজেম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুবক্কর ছিদ্দিক, গণফোরাম নেতা আলী নূর খান বাবুল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র মোঃ জুলফিকার রহমান প্রমুখ। এছাড়া, মুফতি রবীউল ইসলাম ও আব্দুল খালেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন।
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা-আশাশুনি ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আ.লীগ নেতা মুনসুর আহমেদ, এবিএম মোস্তাকিম, নর্দান ইউনিভাসির্টির উপাচার্য ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শহীদুল আলম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট বরুন বিশ্বাস, এস এম রফিকুল ইসলাম, আব্দুল কাদের প্রমুখ। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন, ইসলামী আন্দোলনের মো. ইছাক আলী সরদার, জামায়াত ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহা. রবিউল বাসার ও মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের আংশিক) আসনে মনোনয়ন পত্র কিনেছেন, আ.লীগের বর্তমান এমপি এস, এম জগলুল হায়দার, আ.লীগ নেতা আতাউল হক দোলন, মাসুদা খানম মেধা, গাজী আনিসুজ্জামান আনিছ, এ, কে, এম জাফরুল আলম বাবু, জি,এম শফিউল আযম লেলিন, সাঈদ মেহেদী, মোজাহার হোসেন কান্টু,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ। বিকল্পধারার এইচ এম গোলাম রেজা, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আলহাজ্ব আব্দুস সাত্তার মোড়ল, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল করিম, জাসদের আব্দুল আহাদ ও অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী প্রমুখ। বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ্ব কাজী আলাউদ্দিন, বিএনপি নেতা মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদ, আশেক ইলাহী মুন্না, নূরজাহান পারভীন ঝরণা, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বিশ দলীয় জোটের জি, এম নজরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ও জয়দেব বিশ্বাস প্রমুখ।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারই সাতক্ষীরার চারটি আসনে পুরাতন মুখের সাথে অনেক নতুন মুখের আগমন ঘটেছে এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।
মৌলভীবাজার থেকে এস এম উমেদ আলী জানান, মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৫১জন। এর মধ্যে নৌকার মাঝি হতে ২৭ জন ও ধানের শীষের হাল ধরতে ২৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখন চলছে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সাক্ষাৎকার। তবে এই দু’প্রতীক ছাড়াও জেলার ৪টি আসনে জাতীয় পার্টি,জামায়াত ,জাসদসহ অনান্য দল ও স্বতন্ত্র মিলে আরো ২০-২৫ জন মনোনয়ন প্রতাশি রয়েছেন। তবে ধানের শীষ ও নৌকা ছাড়া অন্য প্রতীকের প্রতি ভোটারদের আগ্রহ কিছুটা কম। যে কারণে সবার চোখ এই দুই প্রতীকের প্রার্থীদের নিয়ে। যদিও মাঠে নেই মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। দলীয় টিকিটের আশায় জোর লবিংয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছেন তারা। তবে বসে নেই তাদের কর্মী সমর্থকরা। প্রধান দুই দলের নেতা-কর্মীরা পোস্টার-ব্যানার ও লিফলেটের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোটাদের কাছে তাদের সালাম-আদাব পৌঁচাচ্ছেন। আর তাদের সর্মথন ও দোয়া আর্শিবাদ চাইছেন। জানা যায় দলীয় সাক্ষাৎকার শেষে জোট-মাহাজোট, জাতীয় ঐক্যফন্ট ও যুক্তফন্টের সাথে বৈঠক শেষে চূড়ান্ত হিসাব নিকাশের পর নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্ভর যোগ্য সুত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফন্ট ও আ.লীগের প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে তারা হলেন-
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) মহাজোট ও আ.লীগের নৌকা প্রতীকে হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) জাতীয় ঐক্যের শীর্ষ নেতা, সাবেক ডাকসুর ভিপি ও এমপি সুলতান মো. মনসুর আহমদ, প্রতীক ধানের শীষ। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) ধানের শীষ প্রতীকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম.নাসের রহমান। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ) বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে হাজি মুজিবুর রহমান মুজিব। ৪টি আসনে এ পর্যন্ত এই ৪ জন প্রার্থী অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানা গেছে। এখন অন্যদের সাথে এদের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুধু ঘোষণার অপেক্ষায়।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে মোট ১৫ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪ জন, বিএনপির ৭ জন ও অন্যান্য দলের ৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এই আসনে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও ভ‚মি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান,দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী এবং জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন।
বিএনপির যারা মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, জেলা বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মুছা, ব্যবসায়ী আবু মোহাম্মদ নিপার, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সালাউদ্দিন সুমন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম লোকমান শাহ। এছাড়া বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিনও এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন আনোয়ারা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুর রব চৌধুরী টিপু ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন দলের ওমান শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা এরফানুল হক চৌধুরী।
নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহ-৯ নান্দাইল আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট লড়াইয়ে পাঁচ দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩২ জন স্ব-স্ব দলের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আ. লীগের ২১ জন, বিএনপির ৫ জন, জাতীয় পার্টির ২ জন , জাসদের ১ জন, গণফোরামের ১ জন, জাকের পার্টির ১জন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ১ জন। আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম আরসিডি পিএসসি (অব.), নান্দাইল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন ভূইয়া, ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ- সভাপতি অ্যাডভোকেট কবীর উদ্দিন ভূইয়া, ডিএজি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, ড. এ আর খান, এডিএম সালাউদ্দিন হুমায়ুন, অধ্যক্ষ সামছুল বারী, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম ভূইয়া, ড. শেখ জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক ভূইয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান কবীর সুমন, জালাল উদ্দিন মাস্টার মুজিবুর রহমান স্বপন, অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান হাদিছ, যুবলীগ নেতা শহীদুল্লাহ শহীদ, এড. রফিকুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন ও সনজিব ইসলাম। বিএনপি’র প্রার্থীরা হলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য খুররম খান চৌধুরী, বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চলের সভাপতি এ.কে এম রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেয়র এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুল, ইয়াসির খান চৌধুরী, ও মামুন বিন আব্দুল মান্নান, গণফোরাম নেতা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিডিয়া সম্বনয়ক লতিফুর বারী হামিম, ময়মনসিংহ জেলা জাসদের সভাপতি এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হলেন, উপজেলা শাখার সভাপতি হাসনাত মাহমুদ তালহা, উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা হাসনাত মাহমুদ তারিক, জাকের পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শফিউল আলম ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাওলানা সাইদুর রহমান।
ফেনী থেকে ওমর ফারুক জানান, ফেনীর ৩টি আসনে আ.লীগের ২৩ বিএনপির ৫০ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
ফেনী-১ (পরশুরাম-ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) আসনে আ.লীগ থেকে আলোচিত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, সাবেক এমপি জয়নাল হাজারী, সাবেক মন্ত্রী জাফর ইমাম বীর বিক্রম নমিনেশন ফরম কিনে জমা দেননি। জাসদ (ইনু) থেকে ফরম জমা দিয়েছেন এমপি শিরিন আক্তার, জাতীয় পার্টি থেকে নাজমা আক্তার।
বিএনপি থেকে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ফরম উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। বেগম খালেদা জিয়ার পৈত্রিক বাড়ির এ আসনে তিনি টানা ৫ বার সংসদ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন।
ফেনী-২ সদর আসনে আ.লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান এমপি নিজাম উদ্দীন হাজারী, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাবেক এমপি জয়নাল হাজারী, অ্যাডভোকেট কাজী ফয়সাল, ফারুক আলমগীর চৌধুরী, আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সম্পাদক সাইফুদ্দিন নাসির ও ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল হক আরজু দলের মনোনয়নপত্র কিনেছেন। জাপা থেকে খন্দকার নজরুল ইসলাম, ইকবাল আলমগীর।
এদিকে বিএনপির মনোনয়নে দু’বার ও জাসদ থেকে একবার সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি। এবারো ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে তিনি দলীয় ফরম জমা দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু ও কারাবন্ধী জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক গাজী হাবিব উল্লাহ মানিক ছাড়াও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, যুগ্ম-সম্পাদক এম এ খালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মেজবাহ উদ্দিন খান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বকুল, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায়ী ওমর ফারুক সাইমুন, নুর নবীও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ফেনী-৩ আসনে আ.লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বর্তমান এমপি হাজী রহিম উল্যাহ, সাবেক এমপি জায়নাল হাজারী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সদস্য আবুল বাশার, কেন্দ্রীয় আ.লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেন হুমায়ুন, সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, সোনাগাজী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, দাগনভূঁঞা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন, কেন্দ্রীয় মহিলা আ.লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, জাপান আ.লীগের সভাপতি শামসুল আলম ভুট্টু, অভিনেত্রী শমী কায়সার, এনআরবি গোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাজু।
জাপা থেকে সদ্য যোগদানরত সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে: জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা জাপার আহবায়ক রিন্টু আনোয়ার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বিএনপি নেত্রীর পৈত্রিক বাড়ির এ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি তার ছোট ভাই দাগনভুইয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, বিগ্রেডিয়ার (অব:) নাছির উদ্দিন আহাম্মেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সাবেক সদস্য বেলাল মিল্লাত, বর্তমান সদস্য এড. শাহানা আক্তার শানু, ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাইদ হোসেন চৌধুরী, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদীন বাবলু, বর্তমান সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন শিমুল, সদস্য মোরশেদ আলম সেলিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক সাদরাজ জামান ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম দুলাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মাসুদ, দাগনভুইয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক রিপন, দাগনভুইয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সাইফুল ইসলাম দুলাল, মালেশিয়া প্রবাসী পেয়ার আহাম্মদ আকাশ রয়েছেন। এছাড়া অনেক নতুন ও অপরিচিত মুখও।
নিকলী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী বাজিতপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ১৩ জন। তারা হলেন- জেলা বিএনপি সহ সভাপতি সালেকুজ্জামান খান রুনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, নিকলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুন মোমেন মিঠু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা শফিকুল আলম রাজন। জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক জিএস বদরুল আলম শিপু, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মাসুক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য মাহমুদুর রহমান উজ্জল, পৌর বিএনপির সভাপতি এহসান কুফিয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মদ নাসির, বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মণিরুজ্জামান মণির, সাবেক বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক মোস্তফা আমিনুল হক ভূইয়া। নিকলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা: কফিল উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।