পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবাচনে সেনা মোতায়েন হলে সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, আগামী মাসে দেশে সাধারণ নির্বাচন। সম্ভবত নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নিয়োগ করা হবে। আমরা অতীতেও এ দায়িত্ব পালন করেছি। অতীত ঐতিহ্যের আলোকে আমাদের এই নির্বাচনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একটা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে সম্পন্ন হয় সে লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনে সেনাপ্রধান হিসেবে আমার নির্দেশ থাকবে। একই সঙ্গে তিনি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখার কাজে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন। গতকাল রোববার সাভারে সেনানিবাসে সিএমপিসিএন্ডএসের প্যারেড গ্রাউন্ডে এডহক ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট মেকানাইজড’কে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সরকারের সকল নির্দেশনা পালনের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়প্রত্যয়, দূরদর্শিতা ও সঠিক দিকনির্দেশনার কারণে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। বিশ্ব দরবারে উন্নয়ণশীল দেশের যে স্ট্যাটাস আমরা পেয়েছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য দেশের আর্থসামাজিক, শিক্ষা, অবকাঠামোসহ সকল ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তা ধরে রাখতে হবে। আর এই অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে পারলে ২০২৪ সাল নাগাদ উন্নয়ণশীল দেশের স্ট্যাটাস স্থায়ী হবে। তাই দেশে সুষ্ঠু পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি রক্ষায় যদি কোন দায়িত্ব পালন করতে হয় সেনাবাহিনী তা করবে। এজন্য দেশ ও জনগণের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকারে সেনা সদস্যদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সেনাপ্রধান আরো বলেন, একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। সরকারের ২০২১ সালের রূপকল্পের ধারাবাহিকতায় ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০ এর আলোকে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো বিন্যাস ও পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে নিয়মিত, ডিভিশন সাপোর্ট, মেগানাইজড ও প্যারা এই চার প্রকারের পদাতিক ব্যাটেলিয়ন প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া গত ৮ থেকে ৯ বছরে সমরাস্ত্রসহ আরো নতুন তিনটি ডিভিশন সংযোজন হওয়া বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করেন সেনাপ্রধান।
এদিকে আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী প্রধান প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সিনিয়র অফিসারগণ। সেনাবাহিনী প্রধান রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তির বিরল সম্মান ও গৌরব অর্জন করায় এডহক ১১ বীর (মেক)- এর সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম এবং কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ অর্জিত পতাকার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন।
প্যারেড শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাভার ডিওএইচএস-এর কেন্দ্রীয় মসজিদ, সেনা স্কুল এন্ড কলেজ এবং দুইটি লেকের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও সাভার সেনানিবাস এলাকায় সেনা শপিং কমপ্লেক্সের উদ্বোধন এবং সাভারের খেজুরটেক এলাকায় জিসিওদের জন্য আবাসিক কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ’৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অতুুলনীয় ভুমিকা এবং পরবর্তীতে এর অপরিসীম গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বিএমএ স্বল্প মেয়াদী কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্যারেড পরিদর্শনের সময় এ বাহিনীকে যুগোপযোগী ও বিশ্বে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। এই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় সেনাবাহিনীর কলেবর বৃদ্ধিসহ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাশাপাশি ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় পদাতিক রেজিমেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়।
অনুষ্ঠানে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামসুল হক ও নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আকবর হোসেনসহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ এবং সাভার সেনানিবাসের সকল অফিসার, জেসিও ও বিভিন্ন পদবীর সৈনিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৯ আসনের এমপি ডা. মোঃ এনামুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।