পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির মামলা সংক্রান্ত তালিকা তাঁরা এখনো দেখেননি। তালিকা দেখে যদি মনে হয় যে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে, তাহলে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হবে যেন হয়রানিমূলক মামলা না দেওয়া হয়। হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হলে কিছুটা হলেও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজের দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, তারেকের ভিডিও কনফারেন্স : তথ্য প্রমান পেলে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। প্রধানমন্ত্রীর থ্যাংক ইউ পিএম’ নির্বাচনি প্রচারণা হলে বন্ধ করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। হয়রানিমূলক মামলা কিছুটা হলেও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে। নির্বাচনের যেসব কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে অহেতুক হয়রানি না করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিচ্ছেন। রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া পুলিশ কাউকে হয়রানি করতে পারবে না। কেউ করে থাকলে অতিউৎসাহি হয়ে করছে।
তিনি বলেন, কারো রাজনৈতিক কী পরিচয় সেটা আমরা জানাতে বলিনি। আমাদের নির্দেশনা হলো যারা নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত হবে তাদের ব্যাপারে কোনো ধরণের আইনী সমস্যা আছে কিনা। কারণ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকেও তো নিয়োগপ্রাপ্ত হবে। প্রিসাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের পুলিশ ফোন দিয়ে হরয়ানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ করেন তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছেন। প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের পুলিশ ফোন দিয়ে হরয়ানি করছে এ বিষয়ে গনমাধ্যমে রিপোর্টও হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। যদি কেউ এই ধরনের কাজ করেন তাহলে অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমাদের স্পেসিফিক নির্দেশ কোন ব্যক্তিকে অহেতুক রিটার্নিং কর্মকতার নির্দেশনা ছাড়া কোন রকম যেন অহেতুক হয়রানি না করে। এই নির্দেশনা আমাদের দেয়া আছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) নিউজ করতেছেন আমরা সেগুলো ভেরিফাইড করবো । নিউজের সত্যতা পেলে আমরা এ্যাকশন নিব। আমরা অলরেডি প্রশাসনের সব লোককে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছি কোন করকমের হয়রানি না করার জন্য।
এক প্রশ্নের জাবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের তালিকা কিভাবে গেল এটা যদি জিজ্ঞাস করেন তাহলে বলবো, আসলে পুলিশের তালিকা কারও কাছ থেকে নেওয়ারই দরকার ছিল না। তালিকা নিয়েছে কিনা আমি জানি না। নেওয়ারই দরকার ছিল না। কারণ নিতীমালাই বলা আছে কাদের আমরা প্রিসাইডিং, সহকারি প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসার করবো। আমরা যেই তালিকা দিয়েছি সেই প্যানেলের মধ্য থেকেই তাকে নিয়োগ করতে হবে। কে কী তালিকা দিল তাতে আমাদের যায় আসে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তথ্যপ্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে নির্বাচন কমিশন আইনে কী আছে, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনের কাভারেজ কতটুকু কী আছে- এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলার তালিকার বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, তালিকাটি আমি দেখিনি। আমরা দেখে সত্যিকারের অর্থে যদি কোনো হয়রানিমুলক মামলা হয়ে থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেব- যেন হয়রানিমুলক মামলা না করে। কারণ হয়রানিমূলক মামলাকরলে নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা হলেও বিনষ্ট হবে।
সরকারি বিটিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘থ্যাংক ইউ পিএম’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এটি দেখেছেন। চ্যানেলগুলোর নিজস্ব নীতিমালা আছে, টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই, সে ইচ্ছাও নেই।
তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনটিতে সরকারের কর্মকান্ড তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্য কোনো দল এমন প্রচার করতে চাইলে সেটা করতে পারে। কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে, তাহলে এ বিষয়ে আইনে কী আছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এটি আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না। বেসকারি টেলিভিশন তাদের একটা নিজস্ব নিতীমালা মেনে এটা প্রচার করছে সেখানে হস্তক্ষেপ করা কি ঠিক হবে? আপনারাই বলেন।
সরকার প্রচারণা করতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা যদি প্রচারণা হয় তাহলে তো কোন নিউজই আপনারা ছাপাতে পারবেন না। যেমন রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু। এগুলোর ব্যপারে যদি লিখেন এত শতাংশ উন্নয়ন হয়েছে। এটাতো সরকারি প্রচারণা হয়ে যাবে তাহলে। আমরা কোন ভাবেই ডিজিটাল প্রচারণার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা দেইনি। আমরা শুধু বলেছি নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারবে না। এটা নির্বাচনি প্রচারণা কেউ অভিযোগ করলে আমাদের বসতে হবে। দেখতে হবে। দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সত্তি সত্তি নির্বাচনি প্রচারণা কি না। নির্বাচনি প্রচারণা যদি হয় তাহলে আমরা এটা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচারণা নিয়ন্ত্রন করা হবে কি না এ ব্যপারে রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে অনেক কিছু ব্রডকাস্ট (সম্প্রচার) করা যায়। এটা নিয়ন্ত্রন করার কথা বা বন্ধ করার অনেক চেষ্টা বিভিন্ন যায়গায় নেয়া হয়েছে। আসলে এটা পারা যায় না। নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা সম্পর্কে তিনি বলেন, আজকের (গতকাল রোববার) মধ্যে আগাম সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা সরিয়ে ফেলতে হবে। যদি কেউ সরিয়ে না ফেলেন তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।