পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল বিভাগীয় সদর আসনে মনোনয়ন নিয়ে প্রধান দ্ইু রাজনৈতিক শিবিরেই নানা মেরুকরণ চলছে। ১৯৭৩ সালের পরে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচনের ভোট গ্রহণে বরিশাল-৫ আসনটি আওয়ামী লীগের ভাগ্যে না জুটলেও এবার তারা মরিয়া মর্যাদাপূর্ণ এ আসনটি দখলে রাখতে। তবে ওই দলেরই প্রভাবশালী একটি গ্রুপ এ আসনে এমন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে আগ্রহী যিনি সব সময়ই দলের পাশাপাশি ব্যক্তির আস্থাভাজন থাকেন। অপরদিকে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী এতদিন মোটামুটি ঠিক থাকলেও স¤প্রতি যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় নতুন জটিলতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ আসনে স্থানীয় আরো কয়েকজন নেতা-নেত্রীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটারের বরিশাল-৫ আসনটিকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এখানে অনেক দুঃখ আছে শাসক জোটের মূল শরিক দলের। সর্বশেষ ১৯৭৩-এর ৭ মার্চের জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে নুরুল ইসলাম মঞ্জুর আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হবার পরে এখানে বিজয়ের হাসি হাসতে পারেনি দলটি। তবে ২০১৪-এর ভোটারবিহীন নির্বাচনে সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরন বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন। হিরনের অকাল মৃত্যুর পরে বিরোধী দল ও ভোটারবিহীন আরেকটি উপ-নির্বাচনে তার সহধর্মীনি জেবুন্নেসা আফরোজ নির্বাচিত হন।
গত ৪ বছর জেবুন্নেসা আফরোজ বরিশাল সদর আসনের এমপি থাকেলও তার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক কতটা নিবিড় ছিল তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে এর পরেও তিনি সদর আসনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সর্বশেষ খবরানুযায়ী জেবুন্নেসাই মনোনয়ন পাবার দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন। এ আসনে মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান রিন্টু ও মহানগর আওয়ামী লীগ সম্পাদক এডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীরও আগ্রহী।
মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন ইতোপূর্বে একাধিকবার সদর আসন ছাড়াও অধুনালুপ্ত বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে বিজয়ী হতে পারেননি। ২০০১-এর নির্বাচনে আদিনিবাস মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন মাহবুব। ২০০৮-এ আবার বরিশালে ফিরে এসে মনোনয়ন চেয়েও পাননি। গত বছরখানেক যাবত তিনি বরিশালের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হয়েছেন। বিগত সিটি নির্বাচনেও তিনি সাদিক আবদুল্লাহর জন্য দিনরাত কাজ করেছেন। এখনো সার্বক্ষনিকভাবে নতুন মেয়রের সাথে থাকছেন মাহবুব উদ্দিন। দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অভিভাবক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর আস্থাভাজন হয়েই মাহবুব উদ্দিন মনোনয়ন লাভের আশা করছেন। কিন্তু দল ও আবুল হাসনাতের কাছে কে বেশী আস্থাভাজন তা স্পষ্ট না হলেও ঘনিষ্ঠজনদের মতে, দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহল এখন পর্যন্ত জেবুন্নেসা আফরোজকে কিছুটা বেশী নিরাপদ মনে করছেন ।
অপরদিকে কঠিন প্রতিক‚লতার মধ্যেও বারবারই বিএনপি প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হওয়া এডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এবারো জোটের মনোনয়ন চেয়েছেন। এতদিন তার বিষয়টি নিশ্চিত থাকলেও এড. মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ায় বিষয়টি নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০০৮-এ আলাল ঢাকায় জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন। ২০০১-এর নির্বাচনে তিনি সাবেক বরিশাল-২ আসনে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। এবার আলাল বরিশাল-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় ভোটার ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও নানা হিসেব-নিকেশ শুরু হয়েছে।
‘দলের হাই কমান্ডের নির্দেশেই’ বরিশাল সদর আসনে আলাল মনোনয়ন চেয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানালেও সরোয়ার এ ব্যাপারে বিশেষ কোন মন্তব্য করেননি। তবে ‘দল যাকে যোগ্য বিবেচনা করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে’ বলে জানিয়েছেন তিনি। বিগত প্রায় এক যুগ ধরে সব কঠিন প্রতিক‚লতার মধ্যেও সরোয়ার যেভাবে মাঠ পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীদের আগলে রেখেছেন, ভবিষ্যতেও তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ দুজন ছাড়াও বিএনপি’র দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবায়দুল হক চান ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন সদর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরা দুজনও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জানা দিয়েছেন।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, প্রধান দুটি দল ও জোটের পক্ষ থেকে বরিশাল বিভাগীয় সদর আসনে মনোনয়ন প্রদানের ওপর আগামী দিনে দক্ষিণাঞ্চলে আরো অনেক রাজনৈতিক মেরুকরণ নির্ভর করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।