Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দলে নিস্ক্রিয় নেতা মনোনয়নে আলোচনায় ! বিএনপিতে ক্ষোভ

জাতীয় সংসদের ১৪৬-ময়মনসিংহ-১(হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা)

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৯ পিএম | আপডেট : ৭:২১ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮

ময়মনসিংহের ভারতীয় সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলী আজগর। পদে থাকলেও বিএনপির চলমান দুঃসময়ে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে তিনি ছিলেন নিস্ক্রিয়। পুলিশি মামলা-হামলা ছিল তার নিরাপদ দূরত্বে। ফলে বিগত পাঁচ বছর ক্ষমতাসীনদের সাথে বন্দর কমিটি আর ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আলোচনায় নতুন মাত্র যোগ হয়েছে তাকে ঘিরে। এনিয়ে হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১৪৬- ময়মনসিংহ-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রমতে, এ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী হেভিওয়েটরা হলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক এমপি আফজাল এইচ খান, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সালমান ওমর রুবেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর।
স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৭ হাজার দুই শত ৬৮টি। এর মধ্যে ধোবাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪৪ হাজার ১২৮টি এবং হালুয়াঘাট উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার এক শত ৪০টি। বিশাল এ ভোট ব্যাংকে আলী আজগর অনেকটাই পিছিয়ে। কারন হিসেবে সূত্রটি দাবি করেন, হালুয়াঘাট উপজেলায় আলী আজগরের একটি সমর্থক গোষ্টি থাকলেও ভোট রাজনীতিতে তা নগন্য। তাছাড়া ধোবাউড়া উপজেলায় তার কোন কর্মী বাহিনী নেই। বিগত ৫ বছরের মধ্যে একটি ইফতার মাহফিল এবং প্রয়াত এক আওয়ামীলীগ নেতার জানাযায় অংশ নেয়া ছাড়া তিনি কোন দিন ধোবাউড়ায় যাননি। ফলে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই।
বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মীর অভিযোগ, ২০০৯ সালে আলী আজগর বিএনপির মনোনয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও দলীয় কর্মকান্ডে তিনি সক্রিয় ছিলেন না। ২০১৪ সালে চেয়ারম্যান পদ হারানোর পর দলের আন্দোলন সংগ্রামে তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। এবং বিগত পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী বিপক্ষে ছিলেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিগত হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আজিজুল হক বলেন, একটি মহল মনোনয়ন নিশ্চিত আওয়াজ তুলে দলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শুনেছি ইতিমধ্যে ছাত্রদল-যুবদলের দু’টি কমিটি অনুমোদন হয়েছে। এতে যোগ্যদের মূল্যায়ন হয়নি। ফলে ব্যক্তি পছন্দের কমিটি দলের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
হালুয়াঘাট পৌরসভার বিগত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দূল হামিদ বলেন, আলী আজগর প্রকাশ্যে পৌর নির্বাচনে দলের বিরোধীতা করেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা আরো জানায়, বিগত মহাজোট সরকারের পুরো সময় ধরেই ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে আলী আজগর স্থলবন্দর কমিটির সাধারন সম্পাদক পদ সহ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সভাপতি পদ ভাগিয়ে নিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের দাবি, বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলে তিনি এসব পদে মূল্যায়িত হতে পারতেন না।
এবিষয়ে আলহাজ্ব আলী আজগরের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁর বক্তব্য জানাযায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মনোনয়ন

১৭ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ