পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এখনো অপসারণ হয়নি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড। নির্বাচন কমিশন থেকে বেঁধে দেয়া দ্বিতীয় দফার সময়ও গতকাল শনিবার রাত ১২টায় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নির্বচন কমিশনের সেই নির্দেশনার প্রতিফলন রাজধানীর কোথায়ও পালন হতে দেখা যায়নি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পরও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে থাকতে দেখা গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাঁটানো সকল ধরনের পোস্টার, ব্যানার সরিয়ে নেওয়ার প্রথম দফার সময় ছিল গত ১৪ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা কর্যকর হয়নি। এরপর দ্বিতীয় দফায় তা বাড়িয়ে ১৭ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া সেই দ্বিতীয় দফার সময়ও গতকাল শনিবার রাত ১২টায় শেষ হয়ে গেছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাক সরেজমমিন ঘুরে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে আছে নগরী ও বিভিন্ন এলাকা। দেয়াল, খুঁটি ও পিলার ভরে আছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানারে। নতুন-পুরোনো নেতাদের সঙ্গে তরুণদের পোস্টারের ছড়াছড়ি সবখানে।
নির্বাচন কমিশন গত ৯ নভেম্বর এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এতে বলা হয়েছে, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার, দেয়াললিখন, বিলবোর্ড, গেট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচারণা ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে গত ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নিজ খরচে অপসারণ করবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে যুগ্ম সচিব (গণসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদেরও এই নির্দেশনা দিয়েছেলেন ইসি।
নির্বাচন কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর কোন কোন মনোনয়ন প্রত্যাশীর তাদের পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড সরালেও তা ছিল অতি নগণ্য। এখনো বিভিন্ন স্থানে তা রয়ে গেছে। পুরোপুরিভাবে উচ্ছেদ করা হয়নি। গতকাল বিকেলে রাজধানীর মাতিঝিল, পল্টন, প্রেসক্লাব, শাহবাগ, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক অলি গলিতে নানা ধরণের পোস্টার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড দেখা যায়। এছাড়াও গুলশান বনানির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় পোস্টার ও বিলবোর্ড এখনো সাঁটানো থাকতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষে বিভিন্ন পোস্টার ব্যানার সাঁটানো রয়েছে। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এখন কোনো ধরণের মিছিল, মশাল মিছিল বা শোডাউন করা যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, মিছিল, মশাল মিছিল বা শোডাউন করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী যদি তাঁর প্রচার উপকরণ অপসারণ না করেন তবে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইসি সচিব জানান। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।