পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অভিমতের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায় সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় নির্বাচন: সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ব্লাসফেমি আইন এদেশে না থাকলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অজুহাতসহ বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্র ব্লাসফেমি আইনের চর্চা করছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে যেখানে শূন্য সহনশীল হওয়ার কথা সাম্প্রদায়িক হামলাকারী, নারী নির্যাতনকারী ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টিকারীদের প্রতি আজ তার বিপরীতে রাষ্ট্রের শূন্য সহনশীল অবস্থান হয়ে গেছে মুক্তবুদ্ধির প্রতি। এ অবস্থায় দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা যে করুণ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নাগরিক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভূমি ও মানবাধিকারকর্মী শামসুল হুদা। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক স্বার্থন্বেষী মহল বারবার তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিভিন্ন অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্মম নির্যাতন, অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ অনেক ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড চালিয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা বা উদাসীনতাও এই সহিংসতা বিস্তার লাভে বড় ভূমিকা রেখেছে। নির্বাচন কমিশনও তার সঠিক ভূমিকা পালন করেনি। নির্বাচন কেন্দ্রীক নির্যাতন ও হয়রানি থেকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দশটি দাবি জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোটের আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, আইনজীবী অ্যাডভোকেট তবারক হোসেইন, মানবাধিকারকর্মী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।