পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ী গ্রামে এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একই উপজেলার নিলক্ষ্যা ইউনিয়নে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে বাঁশগাড়ী বালুয়াকান্দি এলাকার মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছেলে তোফায়েল হোসেন (১৮), নিলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাও এলাকার উসমান মিয়ার ছেলে সোহরাব হোসেন (৩০) ও গোপীনাথপুর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মো. স্বপন মিয়া (২৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ে একজন নিহত হন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল হকের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের হামলা ও পাল্টা হামলায় চেয়ারম্যান সিরাজুল হকসহ একাধিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে বাঁশগাড়ি গ্রামের বালুমাঠ এলাকায় বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ও বাবুল মেম্বারের সর্মথক ও প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকারের সমর্থক জামাল, জাকির ও সুমনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী তোফায়েল রানা নিহত হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরও ৬ জন। তাদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে একই উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নেও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাদের সমর্থকরাও বাঁশগাড়ি এলাকার সংঘর্ষে অংশ নেয়। এর মধ্যে নিলক্ষা এলাকার তাজুল ইসলামের সমর্থকরা বাঁশগাড়ী এলাকার সিরাজুল হককে এবং আবদুল হকের লোকজন শাহেদ সরকারকে সমর্থন দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আবদুল হকের সমর্থকরা বাঁশগাড়ীর সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার পর নিজ এলাকায় ফিরে তাজুল ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে সোহরাব হোসেন নামে তাজুল ইসলামের এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আহত হয় কমপক্ষে ৪০ জন। এর মধ্যে ১০-১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে সর্বশেষ শুক্রবার বিকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শাহেদ সরকারের সমর্থক স্বপন মিয়া। এছাড়াও সংঘর্ষে অজ্ঞাত পরিচয় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিলক্ষা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ হোসাইন জানান, লাশগুলো রায়পুরা থানা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। বাঁশগাড়ীর সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরেই তাজুল চেয়ারম্যানের সমর্থকরা আবদুল হক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তবে আজকের সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। হঠাৎ করেই এই সংঘর্ষ হয়েছে।
রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাফফর হোসেন জানান, সকালে বাঁশগাড়ীর ঘটনার খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিলক্ষা ইউনিয়নের প্রথমে বীরগাঁও ও পরে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ শুরু হয়। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।