পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, পৃথিবীর কোথাও ‘শতভাগ সুষ্ঠু’ নির্বাচন হয় না। আমরা একটি ‘গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন করতে চাইছি; যা নিয়ে কারও প্রশ্ন থাকবে না। গতকাল রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে জবাবদিহি করতে হয় জনগণের কাছে। সুতরাং এমন কোনো নির্বাচন ইসি করতে চায় না, যার জন্য জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, সেটা কোনো দেশেই হয় না; আমাদের দেশেও হবে না। সুতরাং আমরা বলতে চাই, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা চাই, যেটা সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকে। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বক্তৃতা করেন। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ পত্র বিক্রি নির্বিঘ্নে উৎসবের মাধ্যমে করতে পারলেও বিএনপির মনোয়ন পত্র ক্রয়ে মিছিলে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে মামলা হয়েছে এবং গ্রেফরের ঘটনাও ঘটেছে। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, আমাদের নির্বাচনে থাকা না থাকা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণের ওপর।
সহকারী রিটার্নিং অফিসারদের নির্বাচনের উৎসবের আমেজ যেন কোনোভাবে বৈরী হয়ে না ওঠে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়ে কবিতা খানম বলেন, বাংলাদেশে আজ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। এখন থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং নতুন সংসদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত এই হাওয়ার মধ্যেই আমাদের বসবাস। সুতরাং হাওয়াটা যেন কোনোভাবেই বৈরী না হয়-এই নির্দেশনা অবশ্যই আপনাদের প্রতিপালন করতে হবে।
কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন কমিশন কখনোই চাইবে না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। আমরা শপথ গ্রহণের পর থেকে প্রতিটা নির্বাচনে মাঠে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। ইতোপূর্বে কোনো কমিশন এভাবে সাধারণ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে বিচরণ করেনি। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ‘বিচারকের নিরপেক্ষতায়’ দায়িত্ব পালনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে আপনারা কোনো জাজমেন্ট করবেন না। সবার জন্য সমান আচরণ যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সব ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ‘সদ্ভাব’ বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনের মাধ্যমে একটা নির্বাচন তুলে আনার ক্ষেত্রে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন এ কাজ সুষ্ঠুভাবে করবে, এ আশা যারা ব্যক্ত করেন, আমি বলবো তারা নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বগুলো ইগনোর করার চেষ্টা করেন। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের মিডিয়ায় কথা বলার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখা দরকার। এমন কিছু বলা উচিত না যা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে।
শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেন তারা আচার-আচরণ এবং কথা-বার্তায় ‘নির্বাচনকে অসুস্থ করে’ এমন বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনে যেন এতোটুকু অবহেলা না হয়। একট সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন তুলে আনার ক্ষেত্রে আপনারা সৎ থাকবেন। নির্বাচন কমিশনের শপথের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবেন। তিন মাসের কর্মকান্ড আপনাদের চাকরি জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। সুতরাং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সৎভাবে আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। না জেনে ভুল করবেন না এবং জেনে সতকর্তার সাথে কাজ করবেন। যেহেতু ‘সব দোষ নন্দ ঘোষ’ সে কারণে জবাবদিহিতার জায়গাটি আমরা অত্যন্ত শক্ত করতে চাই। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।