রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নানা উৎকণ্ঠা আর উত্তেজনায় শুধু দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়েই শেষ হলো চাঁদপুর মেঘনা নদীর পাড়ে তাবলিগ জামাতের তিন দিনের ইজতেমা। এ সময় আল্লাহর দরবারে হাত তুলে ন্যায়ের পক্ষে যারা আছেন তাদেরকে কবুল করার জন্যে কান্নাকাটি করেন সহস্রাধিক মুসল্লি।
দীর্ঘ এক মাসের প্রস্তুতি শেষ হলেও তাবলীগ জামায়াতের দুটি গ্রুপের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় গত বৃহস্পতিবার গুটিয়ে ফেলা হয় ইজতেমার কার্যক্রম। এতে করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা মাঠে উপস্থিত হওয়া ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মাধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজতেমা অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় নিরুপায় মুরব্বিরা মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শেষ করার সিন্ধান্ত নেন। এসময় কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইজতেমা সম্পন্ন না করতে পারায় তাদের কান্নায় আশপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। এতে করে ইজতেমা ময়দানে এক হৃদয়বিদায়ক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা চোখের পানিতে মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে ইসলামের মর্মবাণী অনুসরণের জন্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। একই সাথে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাওলানা সাদ অনুসারীরা চাঁদপুরে ইজতেমার আয়োজন করেন। পাশাপাশি অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছিলো।
আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ নভেম্বর চাঁদপুরে ইজতেমা করার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় ইজতেমার আগের তারিখ পরিবর্তন করে এক সপ্তাহ এগিয়ে ১৫, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করে। সে সুবাদে গত বৃহস্পতিবার ইজতেমার প্রথমদিন হিসাব করে তাবলীগের সাথীভাইরা মেঘনা নদীর পাড় ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত সেখানে সহস্রাধিক সাথীভাই সবকিছু নিয়ে অবস্থান করেন। অপরদিকে ‘ইজতেমায় কাকরাইলের সিদ্ধান্ত নেই’ এমন দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে মাওলানা জোবায়ের গ্রুপের সাথীভাইরা। পরে তারা জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এরপর তারা পৌর ঈদগাহে অবস্থান করেন।
উত্তেজনাকর এমন পরিস্থতিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সদর মডেল থানা, নতুনবাজার ও পুরানবাজার ফাঁড়ি পুলিশসহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির পিপিএম বলেন, এক গ্রুপ প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ইজতেমার জন্যে চলে আসে। আর বিরোধী পক্ষ বাধা দিতে আসতে ছিল। উভয় পক্ষকে নিবৃত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখেছি। জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, ‘ইজতেমার বিষয়ে আমাদের কোনো বারণ ছিল না। কিন্তু দু’টি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।