পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা শঙ্কিত। নির্বাচনকালে সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের কাছে নির্বাচন উৎসব নয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ। এ শঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে সংখ্যালঘুদের মুক্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিতে হবে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনও তা রক্ষা হয়নি। আশা করি, এবার তার ব্যত্যয় ঘটবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের আহ্বান, নির্বাচনে মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গীর্জাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়কে নির্বাচনি কর্মকা-ে ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে আহ্বান জানাই, এমন কাউকে আপনারা মনোনয়ন দেবেন না যারা ইতোপূর্বে জনপ্রতিনিধি হয়ে ও থেকে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বা আছেন। এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে তবে সেই নির্বাচনি এলাকায় তাদের সংখ্যালঘুদের ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে হয়। একই সঙ্গে আহ্বান জানাই, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন, বর্ণ বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইনের বাস্তবায়নসহ পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নেও নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
জাতীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এজন্য সরকার, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের স্বাগত জানাই। উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গোটা জাতির মতোই আমরা প্রত্যাশা করছি। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিমচন্দ্র ভৌমিক। এছাড়া সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।