Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সংখ্যালঘুদের কাছে নির্বাচন উৎসব নয় শঙ্কা ও উদ্বেগের’

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৫৯ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা শঙ্কিত। নির্বাচনকালে সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এতে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের কাছে নির্বাচন উৎসব নয়, শঙ্কা ও উদ্বেগের কারণ। এ শঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে সংখ্যালঘুদের মুক্ত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, সরকার, রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিতে হবে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনও তা রক্ষা হয়নি। আশা করি, এবার তার ব্যত্যয় ঘটবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের আহ্বান, নির্বাচনে মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গীর্জাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়কে নির্বাচনি কর্মকা-ে ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে আহ্বান জানাই, এমন কাউকে আপনারা মনোনয়ন দেবেন না যারা ইতোপূর্বে জনপ্রতিনিধি হয়ে ও থেকে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বা আছেন। এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে তবে সেই নির্বাচনি এলাকায় তাদের সংখ্যালঘুদের ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে হয়। একই সঙ্গে আহ্বান জানাই, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য ভূমি কমিশন গঠন, বর্ণ বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন এবং পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইনের বাস্তবায়নসহ পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নেও নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
জাতীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যে গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এজন্য সরকার, দেশের সব রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের স্বাগত জানাই। উৎসবমুখর পরিবেশে এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে গোটা জাতির মতোই আমরা প্রত্যাশা করছি। সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিমচন্দ্র ভৌমিক। এছাড়া সংগঠনটির অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • Md Yousuf ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৫ পিএম says : 4
    Sejonny sena bahinike puro khomota dia nirbachoner ontoto 15 din porbe theke motayon kora dorkar
    Total Reply(0) Reply
  • फय़ेज आहमेद ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৫ পিএম says : 0
    বিজেপির কায়দায় কাল্পনিক অভিযোগ করে লাভ নেই । বাংলাদেশের মানুষ ধর্মীয় কারণে বৈষম্য করে না ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Alam Khokon ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৬ পিএম says : 0
    Onek arame asso eikhane
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:০৭ পিএম says : 0
    Eai deshe hindura onek arame asen eaijonno jokhon tokhon lekchar dete paren.varote dekhen shib shena bjp ki korse?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৫ পিএম says : 0
    এখানে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেটা ২০০১ সালের নির্বাচনের সাথে মেলানো যায় কিন্তু পরবর্তীতে মানে ২০০৮ বা ২০১৪ সালের নির্বাচনের সাথে কোন মিল নেই। বরং আমরা এই দশ বছরে দেখেছি কি দাপটের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাস করছে এই বাংলায়। আমি নিজেই একজন বিদেশী নাগরিক হয়েও হিন্দু সম্প্রদায়েরচ একজন লোকের নিকট কঠিন ভাবে নাজেহাল হচ্ছি এমনকি আমার জীবনও আশঙ্কাজনক হবার কারনে আমার স্বপক্ষে কানাডার হাইকমিশনকে আমার জীবনের প্রশ্নে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিকে ফোন করতে হয়েছে। আইনের কাছেও আমি সঠিক হওয়া স্বত্বেও নাজেহাল হচ্ছি আজ ৭ বছর ধরে এই হিন্দু লোকটার দাপটের কারনে। ২০১২ সালে সে আমার উত্তরা বাড়ি দখল করার জন্যে আমার নিযুক্ত লোকের সাথে যোগসাজোশ করে আমার স্বাক্ষর জ্বাল করে রাজউক উত্তরা অফিসে তখন একজন তারই সম্প্রদায়ের ডিপুটি ডায়রেক্টর দায়িত্বে ছিলেন তার সহযোগিতায় দপ্তরকে জ্বাল স্বাক্ষর করা বন্টন নামা জমা দিয়ে বাড়ির তিনটি ফ্লোর বায়না দলীল রেজিস্ট্রি করার অনুমতি নিচ্ছি এটা আমি জেনে রাজউক উত্তরা দপ্তরে এটা জ্বাল দলীল বলার পরও তাদেরকে দপ্তর অনুমতি দিয়েছে এবং আমি দেশে থাকিনা সেই সুযোগে তাদেরকে দখলে যেতেও সহযোগিতা করেছে এটাই সত্য। আমি বিভিন্ন সময়ে তাদের অন্যায় ক্ষমতা প্রয়োগ করা ও জোড় দখলের অভিযোগ সহ তাদের বিভিন্ন অপকর্মের উপর অভিযোগ করার পরও রাজউক অফিস, থানা আমার আভিযোগ পাবার পরও কোন তৎপরতা না নেয়াতে তারা বাড়িটা দখল করে অন্যায় ভাবে আমার উপর নান রকম অত্যাচার করে আসছে। এরপরও যদি তাদের সমিতি বিচ্ছিন্ন ঘটনার উপর ভিত্তি করে এভাবে দোষারূপ করতে চায় তাহলে বলতে হয় এখন দেশের অর্ধেকের মত থানায় ওসি হিন্দু সম্প্রদায় হবার পরও কেন তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে??? সচিব পর্যায় থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এই সম্প্রদায়ের লোকজনে ভর্তি তারপরও তারা কি চায় যে ১০% লোক সংখ্যা হয়েও সরকারি চাকুরিতে মেধাভিত্তিতে তারা ৩০% এর উপর কর্মকর্তা হবার পরও তাদের নিশ্চয়তার অভাব এটা কি মানা যায়???এরপরও যদি এনারা এসব অভিযোগ করেন তাহলে সেটা নিয়ে সরব হওয়া কি আমাদের জন্যে উচিত নয়?? নাকি ওরা সংখ্যালঘু তাই তাদের অপরাধ করলেও তার কোন প্রতিবাদ হবে না??
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ