পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালেও ৩০ডিসেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের ৭ থেকে ১০ দিন আগে মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইসি সচিব বলেন, কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন আর পেছাবে না। ৩০ ডিসেম্বরই ভোট গ্রহণ করা হবে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দাবির কারণে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেয়নি। নির্বাচনের আনুসঙ্গিক প্রক্রিয়া সময়মতো শেষ করতে সব কিছু বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জোটগত নির্বাচন করতে যেসব দলের নাম দিয়েছে তার মধ্যে জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারা নেই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) তালিকা জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল।
এর আগে গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইসির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন তিন সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। ওই দাবির প্রেক্ষিতে কমিশন জানায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ওই দিন বিকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন না পেছানোর দাবি করে। প্রতিনিধি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নির্বাচন এক ঘণ্টা পেছানোরও পক্ষে না। মাঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সচিব বলেন, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ ধার্য আছে। নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মাঠে থাকবে। থাকবে সেনাবাহিনীও। তাদের থাকা-খাওয়ার বিষয়গুলো নির্বাচনের মাঠ কর্মকর্তাদের তদারকি করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচনে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো যাবে না। যে সব কর্মকর্তা কাজে অবহেলা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ইসি কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংসদ নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে এলেও নির্বাচন কমিশন তা আমলে নেয়নি।
গত ৮ নভেম্বর প্রথম দফা তফসিল ঘোষণার দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, এবার সেনা মোতায়েন হবে আগের মতোই। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক প্রশাসনকে যথা-প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার বিধানের অধীনে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বাংলাদেশে এর আগের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন হয়েছে। ভোটের মাঠে সেনাসদস্যরা বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতেই নিয়োজিত থাকেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল। ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/ থানা/ উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছিল।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপেও সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি তুলেছিল। ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, এটা সংবিধান পরিপন্থি, বিশ্বের কোথাও এরকম নজির নেই। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধি এবং কত সময় তারা নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করবে- সে বিষয়গুলো ঠিক হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান ও যুগ্ম সচিব মোস্তফা ফারুক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।