নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিলেটে অদ্ভুতুড়ে সব আউট আর লজ্জার হারের পর মিরপুর টেস্ট ছিল বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের অ্যাসিড টেস্ট। সেই পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবেই উৎরেছে মাহমুদউল্লাহর দল। টপ অর্ডার কিছুটা দুশ্চিন্তার কারণ হলেও দুই টেস্টে সিরিজে সর্বোচ্চ রানের তালিকা স্বাগতিকদের দখলে। প্রথমটি হারের পর দ্বিতীয়টিতে ২১৮ রানের বিশাল জয় নিয়ে সিরিজে সমতা এনেছে বাংরাদেশ। সিরিজে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বল হাতেও এগিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, ইনিংস সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান, বেস্ট বোলিং ফিগার আর দলীয় ইনিংস সর্বোচ্চ রানের তালিকায় সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে স্বাগতিক শিবির।
সর্বোচ্চ রানের তালিকায় শীর্ষে মুশফিক, সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় শীর্ষে তাইজুল ইসলাম, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকাতেও এক নম্বরে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক, বেস্ট বোলিং ফিগারের তালিকাতে এক নম্বরে টাইগার স্পিনার তাইজুল। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুশফিক আর সিরিজ সেরা হয়েছেন তাইজুল। দলীয় সর্বোচ্চ ৫২২/৭ রানটিও বাংলাদেশের দখলে।
দুই টেস্টের চার ইনিংসে ব্যাট হাতে মুশফিক করেছেন সর্বোচ্চ ২৭০ রান। একবার ছিলেন অপরাজিত (২১৯*)। ৫০.১৮ স্ট্রাইকরেটে ৯০ গড়ে মুশফিক ৫৩৮ বল মোকাবেলা করে তোলেন ২৭০ রান। তাতে ছিল একটি শতক, ২৪টি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি। দুইয়ে আছেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর। ঢাকা টেস্টে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করা টেইলর চার ইনিংসে ৮২ গড়ে করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪৬ রান। তিনে আছেন বাংলাদেশের মুমিনুল হক। চার ইনিংসে ৪৫.৫০ গড়ে তিনি করেছেন ১৮২ রান, আছে একটি শতক হাঁকানো ইনিংস। ১৫৯ রান নিয়ে চারে পিটার মুর আর ১৫৩ রান নিয়ে পাঁচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটি মুশফিকের দখলে। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন অপরাজিত ২১৯ রান। এর আগেও তিনি ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটি ছিল বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর তামিম, সাকিব ডাবল হাঁকিয়েছেন। মুশফিক দেশের হয়ে একমাত্র ব্যাটসম্যান যার দখলে এখন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত ইনিংস সর্বোচ্চ রানও মুশফিকের দখলে। ৪২১ বলে ১৮টি চার আর একটি ছক্কায় মুশফিক তার অপরাজিত ইনিংসটি সাজান। মুমিনুল এই তালিকায় দুইয়ে, ১৬১ রান করেছিলেন ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে। ব্রেন্ডন টেইলর করেন ১১০ এবং ১০৬* রান। বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দীর্ঘ সাড়ে আট বছর পর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে (১০১*)।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট মেহেদি হাসান মিরাজের দখলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক সিরিজেই নিয়েছিলেন ১৯ উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। চার ইনিংসে ১৪৫.৪ ওভারে তাইজুল ১৮ উইকেট তুলে নেন। টানা তিন ইনিংসে (৬, ৫, ৫) দুর্দান্ত ফর্ম দেখানো এই টাইগার শেষ ইনিংসে নেন দুটি উইকেট। সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার এই তালিকায় দুইয়ে আছেন আরেক স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। চার ইনিংসে তিনি নিয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ উইকেট। ১০ উইকেট নিয়ে তিনে জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জারভিস। বেস্ট বোলিং ফিগারের তালিকায় শীর্ষে তাইজুল। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৯.৩ ওভার বল করে তাইজুল নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। সাতটি মেডেন নিলেও খরচ করেছিলেন ১০৮ রান। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮.১ ওভারে ৩৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেওয়া মিরাজ এই তালিকায় দুইয়ে। তিনে তাইজুল (৬২/৫), চারে কাইল জারভিস (৭১/৫) এবং পাঁচে আছে আবারো তাইজুলের নাম (১০৭/৫)।
সিরিজের সেরা ৫
ব্যাটসম্যান ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
মুশফিকুর রহিম ৪ ২৭০ ২১৯* ৯০.০০ ১/০
ব্রেন্ডন টেলর ৪ ২৪৬ ১১০ ৮২.০০ ২/০
মুমিনুল হক ৪ ১৮২ ১৬১ ৪৫.৫০ ১/০
পিটার মুর ৪ ১৫৯ ৮৩ ৫৩.০০ ০/২
মাহমুদউল্লাহ ৪ ১৫৩ ১০১* ৫১.০০ ১/০
বোলার ইনিংস উইকেট সেরা গড় ৫/১০
তাইজুল ইসলাম ৪ ১৮ ৬/১০৮ ২০.৫৫ ৩/১
মেহেদী মিরাজ ৪ ১১ ৫/৩৮ ১৭.৪৫ ১/০
কাইল জার্ভিস ৪ ১০ ৫/৭১ ১৫.৫০ ১/০
সিকান্দার রাজা ৪ ৭ ৩/৩৫ ৩২.২৮ ০/০
নাজমুল ইসলাম ২ ৪ ২/২৭ ১৯.০০ ০/০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।