পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাবা ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ভাষা সৈনিক অলি আহাদ। শুধু নিজ এলাকায় নয়, দেশের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় মানুষ এবং জাতীয় নেতা। তারই মেয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে অনার্স এবং পরবর্তীতে ব্যারিস্টার পাস করে যুক্ত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে। দীর্ঘ নয় বছর ধরে বিএনপির বিদেশ বিষয়ক কমিটিতে কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রয়েছেন। অলি আহাদের মেয়ে হিসেবে এবং নিজেকে তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করায় ইতোমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। নিয়মিত টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে সারাদেশের মানুষের কাছে পেয়েছেন বিপুল জনপ্রিয়তা। তরুণ প্রজন্মের আইকন হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকার মানুষের আহ্বানে এবং তাদের অনুরোধেই তিনি এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এজন্য বিএনপি ও ধানের শীষের প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম জমাও দিয়েছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপুল সংখ্যক মানুষকে সাথে নিয়ে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেন বিএনপির এই নেতা। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে দেখা করতে আসলে তিনিও রুমিন ফারহানার জন্য শুভ কামনা জানান।
মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে ইনকিলাবকে রুমিন ফারহানা বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি, কারণ নির্বাচন আমাদের আন্দোলনের অংশ। আমি আশা করি যে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে টু থার্ড মেজোরিটি নয়, থ্রি ফোরর্থ মেজোরিটি নিয়ে নিয়ে আমরা ক্ষমতায় যাবো। নিজের এলাকায় কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ করছি। এলাকার মানুষের সাথে কথা হচ্ছে। তাদের অনেকের সাথে আমার প্রতিদিন বৈঠক হয়। যদি ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে বিপুল ভোটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মানুষ ধানের শীষকে বিজয়ী করবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসির ভালোবাসার কথা তুলে ধরে রুমিন ফারহানা বলেন, আমার বাবার প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাসির অন্ধ ভালবাসা ও তীব্র শ্রদ্ধা কাজ করতে দেখেছি সব সময়। উনার সততা, দেশের প্রতি ভালবাসা, আনুগত্য এটা সারা বাংলাদেশের মানুষ জানে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষও উনাকে সেভাবে দেখেন, জানেন। উনার সন্তান হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সব সময় আমাকে বুকে টেনে নিয়েছে, ভালাবাসা দিয়েছে, হৃদয়ে স্থান দিয়েছে। তাদের সেই ভালবাসার জন্যই আমি এলাকাবাসীর জন্য কাজ করছি। আশা করি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে গিয়ে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবো।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাহাত হাসান নামে ছাত্রদল নেতা বলেন, এলাকার মানুষ চায় রুমিন ফারহানা তার বাবার মতো এলাকার মানুষ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করুক। দেশ গঠনে অবদান রাখুক। কারণ উনি ইতোমধ্যে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ করেছেন।
ছাত্রদল কর্মী পিয়াস বলেন, তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে রুমিন ফারহানা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এজন্য ইতোমধ্যে এলাকায় তিনি তরুণদের মাঝে আইকনে পরিণত হয়েছেন। তাকে বিএনপি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন।
ওই এলাকা থেকে আসা হুসাইন আহমদ নামে আরেকজন বলেন, ভাষা সৈনিক অলি আহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের হৃদয়ে আজীবন থাকবেন। তার মেয়ে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ায় আমরাও আশায় বুক বেধেছি যে, তার বাবার অসম্পূর্ণ কাজ তিনি এগিয়ে নেবেন। যদিও ইতোমধ্যে রুমিন এলাকার মানুষের জন্য কাজ শুরু করেছেন। এমপি হলে আরও বেশি করে জনগণের পাশে থাকার সুযোগ পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।