মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য। গত মাসের শেষ দিকে রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে বিরোধীদলের নেতা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মৈথ্রীপালা সিরিসেনা।
‘বিতর্কিত’ ওই নিয়োগ নিয়ে গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়, সেখানেই রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হয়। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর ওপর সমর্থন তুলে নিয়ে এককালের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাজাপাকসেকে ওই পদে বসিয়েছিলেন সিরিসেনা। তার এ পদক্ষেপ পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাবে না বুঝতে পেরেই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ৫ জানুয়ারি নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ডিক্রিও জারি করেছিলেন তিনি।
বিরোধী ১০টি রাজনৈতিক দল আদালতে গেলে মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের ডিক্রিতে স্থগিতাদেশ দেয়। এরপরই গতকাল বুধবার পার্লামেন্ট বসে। সেখানে রাজাপাকসের বিতর্কিত নিয়োগের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সম্মতি দিলে স্পিকার কারু জয়সুরিয়া এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেন।
তবে এর মাধ্যমে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনধারী দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) প্রধান রনিল বিক্রমসিংহই ক্ষমতার রেষারেষিতে বিজয়ী হয়েছেন, এমনটা নিশ্চিত হওয়া যাবে না।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ক্ষমতা এখনো প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার হাতেই আছে।
২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকা রাজপাকসের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন সিরিসেনা। পরে রাজাপাকসের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে তার বিরুদ্ধেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান এ ইউপিএফএ নেতা। সেসময় তাকে সমর্থন দেন বিক্রেমসিংহ; পরে সংসদ নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ইউএনপি।
সা¤প্রতিক মাসগুলোতে দিল্লির সঙ্গে ইউএনপির ঘনিষ্ঠতা এবং সিরিসেনাকে হত্যায় ‘ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ’ নিয়ে দুই দলের ঘনিষ্ঠতায় ছেদ পড়ে। তারপরই এক সময়ের মিত্র রাজাপাকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা।
ক্ষমতাকেন্দ্রীক রেষারেষির এক পর্যায়ে গত ২৬ অক্টোবর সিরিসেনার ইউপিএফএ ক্ষমতাসীন জোট সরকার ছেড়ে দিলে বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট। যা দেশটিতে রাজনৈতিক সঙ্কট তীব্রতর করে তোলে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ পড়ানো হলেও ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হননি বিক্রেমসিংহ। নিজেকে ‘বৈধ প্রধানমন্ত্রী’ দাবি করে সিরিসেনার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।