পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসনে কে প্রার্থী হচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে। শুধু তৃনমূলের নেতাকর্মীরাই নন। ফেনী জেলার র্শীষ নেতারাও বিষয়টি জানার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। অনেকেই বলছেন, আইনি জটিলতায় দলের চেয়ারপার্সন কিংবা অন্য কোন কারনে তার পরিবারের সদস্যদের কেউ যদি নির্বাচেন অংশ নিতে না পারেন তাহলে স্থানীয় নেতাদের বেঁচে নেয়া ছাড়া কোন বিকল্প থাকবেনা। কারাবন্দি জীবন থেকে মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে ওই আসনে নির্বাচন করতে চায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঐক্যফ্রন্ট থেকে এখনো বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াই ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থী বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন। তিনি নির্বাচন না করতে পারলে সেই ক্ষেত্রে কারা প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেই ব্যাপারেও কেউ খালেদা জিয়ার বাইরে কারো নাম বলতে চাননি । চেয়ারপার্সনের অনুপস্থিতিতে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে চেয়ারপার্সন বেগম খালেজা জিয়ার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সহধর্মীনী ডাঃ জোবেদা রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ভাই মরহুম সাঈদ এস্কান্দারের সহধর্মীনী নাসরিন এস্কান্দারের নাম। তবে ফেনী-১ আসনে আপাতত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প ভাবছেনা বিএনপি। তারা এখনো আশাবাদী তাদের নেত্রীকে প্রার্থী হিসেবে পাবেন, অবাধ নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে ফেনী ১ আসনে ধানের শীর্ষ প্রতীককে বিজয়ী করে আনবেন তারা । দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্ধী থাকলেও তিনিই প্রার্থী হচ্ছেন এটি ধরেই এগুচ্ছে দলটি। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত পৈত্রিক বাড়ির এ আসন থেকে তিনি ৫ বারের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ও দু’বার বিরোধী দলীয় নেত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালে বিএনপি বিহীন নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার। গত সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্য ফেনী-১ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনার মধ্য দিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু। এসময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সহ কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি, সাবেক সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু, কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানাগেছে, বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও এ আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন, কৃষিবিদ আনোয়ারুন নবী মজুমদার বাবলা, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান নান্টু, আবু তালেব, জিয়া হায়দার ভিপি স্বপন ও মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনার। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী ১ আসনে দলীয় মনোনয়ন কেনায় ফেনী ১ আসনের নেতাকর্মীরা মাঝে আনন্দ উচ্ছাস দেখা গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ বলেন, ফেনী-১ আসনে শুধু বিএনপি নয় সর্বস্তরের মানুষের কাছে বেগম খালেদা জিয়ার বিকল্প ভাবনা নেই। আমরা মনে করি তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখে আমার মনোনয়নপত্র ক্রয়ের প্রশ্নই উঠেনা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল সভাপতি রফিকুল আলম মজনু মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেনী-১ আসনের বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র প্রার্থী বলে জানান। তবে কোন কারণে যদি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারেন তাহলে এ আসনে বিএনপির কে প্রার্থী হবেন তা ম্যাডামই (খালেদা জিয়া) চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।