ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় একটি বাঁশঝাড়ের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মস্তকবিহীন লাশের ৭ টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাঁশঝাড়ের কাছে পায়েহাটা সড়কে পাশে পলিথিনে মোড়ানো লাশের টুকরোগুলো পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

আশুলিয়া থানার এসআই মুরাদ আলী শেখ জানান, সকালে পায়েহাটা ওই সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় স্থানীয়রা সড়কে পাশে পলিথিনে মোড়ানো মস্তকবিহীন মৃতদেহ ও বিচ্ছিন্ন হাত-পা পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মস্তকবিহীন লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। তিনি ধারনা করছেন ৩০/৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবককে কমপক্ষে ৩/৪দিন আগে অন্যত্র হত্যার পর তার মস্তক ও হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঘাতকরা মৃতদেহটি ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। রাতে সুযোগ বুঝে দূবৃত্তরা ওইস্থানে ফেলে যায়। টুকরোগুলো পচেঁ দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরেছে। তবে মাথাটি পাওয়া গেলে হয়তো পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হতো। এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, আশুলিয়ায় শ্যামলি খাতুন (২৫) নামের এক পোশাক শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার পাষন্ড স্বামী। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে বাড়ইপাড়া এলাকার সিকাদের ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শ্যামলি খাতুন আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকায় তার স্বামীর সাথে ভাড়া বাড়ি থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। বেশ কিছু দিন যাবত তাদের মধ্যে পারিবারিক কলেহর কারনে ঝগড়া-বিবাধ লেগেই থাকতো। সোমবার সকালে নিজ স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কক্ষের ভেতরে লাশ রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী। এদিকে সকালে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা নিহতের কক্ষের বিছানার উপর লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যপারে আশুলিয়া থানার এসআই নাহিদ হাসান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে নিহতের স্বামী পোশাক শ্রমিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ কক্ষের ভেতরে রেখেই পালিয়ে গেছে।