পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুমতি ছাড়া সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি না দেয়ার জন্য আদেশ জারি করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনের আচরণ বিধি প্রতিপালনে মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরদিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে গত রোববার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এ চিঠি দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের অব্যহতি না দেয়া পর্যন্ত যাতে তাদের অন্যত্র বদলি করা বা ছুটি দেয়া না হয় অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোনো কাজে নিয়োজিত না করা হয়। এটি নিশ্চিত করতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি স্বায়ত্তশাসিতও বেসরকারি অফিস-প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে পরিপত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ আরপিওর ৪৪-ই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের সময়সূচি জারি হওয়ার পর থেকে ফল ঘোষণার ১৫ দিন পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তা কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ এবং আরপিওর ৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান সব নির্বাহী বিভাগের কর্তব্য। কোনো কর্মকর্তা দায়িত্ব পাওয়ার পর অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ইসির অধীনে প্রেষণে আছেন বলে গণ্য হবেন। নির্বাচনি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অতীতের মতো সহায়তা প্রদান করতেও বলা হয় চিঠিতে। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী, ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালের জন্য প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনি এলাকায় ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন, সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় এক থেকে দুইজন এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩ থেকে ৪টি উপজেলার জন্য একজন করে নির্বাাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সংশ্লিষ্ট উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। যেসব সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই, সেসব উপজেলায়, জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অথবা বিভাগীয় বা অন্য কোনো অফিস/ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্বাচনের আচরণবিধি পালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানায় ইসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।