Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব

প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত টেকনোক্র্যাটরা মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

নির্বাচনকালীন সরকারের ঘোষণা না এলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। আর নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা নেই বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে একটি আইন অনুমোদন ও দু’টি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠক বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিসভায় আইন অনুমোদনে কোনো বাধা আছে কিনা এবং নির্বাচনকালীন সরকার ও মন্ত্রিসভা ছোট করা বা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না এরকম কোনো সংবাদ নেই। থাকলে তো আপনাদের বলবোই।
২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করে গত ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। তবে ঐক্যফ্রন্টের দাবির পর গতকাল সোমবার নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে কমিশন। নির্বাচনকালীন সরকার কোনো আইন বা নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং নির্বাচনকালীন সরকার কবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, যেহেতু ডিক্লারেশন অব সিডিউল হয়ে গেছে, ওই সময় থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়ে গেছে। এই মন্ত্রিসভায় আইন উঠতে পারে কিনা এমন প্রশ্রে জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পারে। মন্ত্রিসভায় আইন উঠতে কোনো বাধা নেই।
সিডিউল ঘোষণার শুরু থেকেই এ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার। কনস্টিটিউশনে ওভাবে লেখা নেই আসলে। একটি আইন অনুমোদন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলো কেবিনেট রিলেটেড কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে। রুটিনই বলা যায় এটা। এটা কোনো উন্নয়ন প্রকল্পকে স্পর্শ করে না। রেগুলোর সরকারের অন্যতম কাজ আইন পাস করা- সরকার তো রেগুলারই আছে। সমস্যা কী?’ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের উত্তর (নির্বাচনকালীন সরকার) ধরে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এগুলোতো আমাদের দেওয়া নাম, এগুলো কনস্টিটিউশনাল নাম না। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া চার মন্ত্রীও এদিন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন।
এ ছাড়াও টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, এটা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। আমাদের যে কনস্টিটিউশন প্রভিশন (সংবিধানের বিধান) তাতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি ওনার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, তবে তিনি মন্ত্রী থাকবেন। সাবমিশন (সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র উপস্থাপন বিষয়টি) হচ্ছে গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত ওনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে যখন গেজেট নোটিফিকেশন হবে। যেহেতু হয়নি, তাই তারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে। কবে নাগাদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে- এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আমার বলার উপায় নেই। এর আগে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ওই দিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
নির্বাচনকালীন সরকার এটা তো আমাদের দেয়া নামই, সাংবিধানিক নাম নয়। মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, না, এই রকম কোনো সংবাদ নেই, থাকলেও আপনাদের তো বলবই।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৮এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অ্যাডেমডাম টু দ্য প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’-এর খসড়ার ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ