মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ৫ জানুয়ারি দেশ জুড়ে ফের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনার নেয়া সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’, ‘সংবিধানবিরোধী’ এবং ‘স্বৈরাচারী’ বলে দাবি করেছেন সদ্য-গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। প্রেসিডেন্টের আদেশ চ্যালেঞ্জ করতে সোমবার উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন শ্রীলংকার বিরোধী দলীয় এমপি’রা। তারা বলছেন, এভাবে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া অসাংবিধানিক।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা নতুন গেজেট জারি করে পুলিশ বিভাগ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। এই বিভাগ আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিলো। বিশেষ গেজেট নোটিফিকেশনে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা শ্রীলংকার পুলিশ বিভাগ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং তিনিই সশস্ত্র বাহিনী প্রধান।
গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ৪২টি বিভাগ, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় সংস্থা অর্থমন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগের সরকারের আমলে এসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিলো।
বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আইনের শাসন জারি রাখতে ও দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চায় তারা। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ‘ডেমক্রেটিক মুভমেন্ট ইন শ্রীলংকা’র আইনজীবীরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত সাহসের সঙ্গে উপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ১৪ নভেম্বর ৮ম পার্লামেন্ট আহ্বানের ব্যাপারে স্পিকারের সামনে কোন আইনগত বাধা নেই। আগের এক গেজেট নোটিফিকেশনে এই দিন অধিবেশন আহ্বান করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। আইনজীবীরা আরো বলছেন যে, প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া স্বেচ্ছাচারি, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক। সংবিধানের ৭০ ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, মেয়াদের প্রথম সাড়ে চার বছরের মধ্যে পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য না চাইলে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিতে পারবেন না। তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্লমেন্টে কার প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন রয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ ১১৬ জন সদ্যস্যের লিখিত অনুরোধ ও বারবার আহ্বান জানানোর পরও প্রেসিডেন্ট সক্রিয়ভাবে পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজনে সক্রিয়ভাবে বাধা দিয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।