Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেপালেও মিটু আন্দোলনে নীরবতা ভাঙছে নারীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৪২ পিএম

ভারতের মিটু ঝড়ে উদ্দীপ্ত হয়ে গত মাস থেকে নেপালের নারীরাও টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমে প্রভাবশালী পুরুষদের হাতে তাদের নির্যাতিত হওয়ার কাহিনী তুলে ধরছে। এক বছর আগে হলিউডের হেভিওয়েট প্রডিউসার হারভি ওয়েনস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্রে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, সেটি ভারত হয়ে নেপালে প্রবেশ করা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।
অক্টোবরের প্রথম দিকে দুই নেপালি নারী যৌন হয়রানি নিয়ে তাদের নীরবতা ভাঙেন। এই দুজনের একজন ছিলেন সাবেক এক সাংবাদিক, অপরজন আল-জাজিরার সংবাদদাতা। আল-জাজিরার সুবিনা শ্রেষ্ঠী বলেন, তিনি শতাব্দী পরিবর্তনের সময় কাঠমুন্ডুর কাছে এক অবকাশ নগরীতে এক ইভেন্টের সময় এক মন্ত্রীর হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন। কাঠমুন্ডু পোস্টের সাবেক সাংবাদিক মিনা কাইনি পরে কাঠমান্ডুতে মার্কিন দূতাবাসে কাজ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এক সিনিয়র সাংবাদিক তার গাড়িতে তাকে জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আরেকজনের নামও বলেন। এই লোকটিকে তিনি গুরু মনে করতেন। লোকটি তার হোটেল রুম ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তিনি অবশ্য দুজনের নাম প্রকাশ করেননি। গত ১৬ অক্টোবর শ্রেষ্ঠী কাঠমুন্ডু পোস্টের মতামত কলামে তার নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন।
তাদের এই কাহিনী প্রকাশের পর দুই নারী কাঠমুন্ডুর সাবেক মেয়র কেশব স্পপিত ও এক প্রাদেশিক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। এরপর একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। অনেকে বলেন, নেপালি গণপরিবহনের বিপর্যয়কর অবস্থার কারণেও অনেক নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়স্কা নারীদের প্রতি চারজনের একজন বাসে চড়তে অনিরাপদ বোধ করে। তারা মধ্যবয়সী লোকদের পাশে বসা এড়িয়ে চলে।
বস্তুত মেয়ে বা নারী, সে যেই হোক, বাড়ি থেকে বের হলেই নির্যাতনের মুখে পড়ে থাকে। অনেক সময় তারা ঘরের কথিত নিরাপদ পরিবেশেও নির্যাতিত হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনের অভাবে এবং সামাজিক রীতির কারণে মেয়েরা তাদের নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে পারে না। তবে এখন সময় পরিবর্তন হচ্ছে। আগের রীতিনীতি ভেঙে নারীরা তাদের নির্যাতিত হওয়ার কাহিনী প্রকাশ করছে। আর মিটু আন্দোলনে উৎসাহিত হয়ে আরো নারী এগিয়ে আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: জিও টিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ