Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত

কক্সবাজারে ক্রিস্টিন এস বার্গনার

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সঙ্কট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। ১৫ নভেম্বর ছোট আকারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আরাকানে সংঘটিত গণহত্যার বিচার না পেলে, সেখানে নাগরিকত্ব না পেলে এবং মিয়ানমারে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে নারাজ।
জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সঙ্কট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের রোহিঙ্গা সঙ্কট বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনার। এসময় শালবাগান শরণার্থী শিবিরের ৯ রোহিঙ্গা নেতা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শনিবার সকাল ১১ টায় টেকনাফ নয়াপাড়া নিবন্ধিত শরণার্থী শিবিরেরর পাশে এলপিজি ওয়ারহাউস ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারের একটি কক্ষে ঘন্টাব্যাপী রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনেরর কথা শুনেন ক্রিস্টিন এস বার্গনার। এ সময় টেকনাফ নয়াপাড়া অনিবন্ধিত শালবাগানের ডেভলাপমেন্ট কমিটির নারী চেয়ারম্যান রমিদা বেগমসহ ৯ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নেতা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠক শেষে ক্রিস্টিন এস বার্গনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
শনিবার সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে তিনি ক্যাম্পে আসেন। বৈঠকে মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন টেকনাফ শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান রমিদা বেগম। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ফলে তারা সেদেশ থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। আগে এসব নির্যতানের বিচার চায়। জাতিসংঘের বিশেষ দ‚ত বলেন, মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রয়েছে। যেন রোহিঙ্গাদের তাদের অধিকারসহ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এ সময় রোহিঙ্গাদের জোর করে সেদেশে না পাঠানোরও আশা ব্যক্ত করেন তিনি। রমিদা বেগমের মিয়ানমার রাইম্যাবিল গ্রামের বাসিন্দা। সে গত বছর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেয়। গত ৪ মাস আগে ইউএনএইচসিআর মাধ্যমে রমিদা বেগমকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি করা হয়। পরে দুপুর ১২ টায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত টেকনাফ ত্যাগ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ