Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একতরফা নির্বাচন করতে সরকারের নির্দেশে তফসিল দিয়েছে ইসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সকল রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র সরকারের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে কিছুই নেই। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাইকারী হারে গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। পুলিশি তল্লাশির নামে বাড়িতে বাড়িতে তান্ডব চলছে। চারদিকে শুধু আতঙ্ক আর ভয়। দেশে আইন, বিচার সবই একজন ব্যক্তির হাতের মুঠোয় বলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নি¤œ আদালত সরকারের আজ্ঞাবাহী হওয়ার কারণে সারাদেশে লাখ লাখ নেতাকর্মীদেরকে প্রতিদিন হয় কোর্টের বারান্দায় না হয় কারাগারে থাকতে হচ্ছে। রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়ার আগেই আকস্মিকভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানেরই সুষ্পষ্ট ইঙ্গিত। গতকাল (শুক্রবার) বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সকল বিরোধী দলের দাবি ছিল মাঠ সমতল এবং সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে তফসিল ঘোষণা। এমনকি পর্যাপ্ত সময়ও রয়েছে কমিশনের হাতে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনুরোধে নির্বাচনের পিছিয়ে দিলে আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটতো না।
রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার, বাধা প্রদান, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, পরিবহণ ধর্মঘট করানো হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ^াসের বিপরীত কর্মকাÐই চলছে। সিইসি বলেছেন-নির্বাচনের ভূমি সমতল থাকবে। নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার হয়রানী, সমাবেশে বাধা প্রদানকে কি সমতল ভূমি বলে? মূলত: রাজনৈতিক ময়দান সম্পূর্ণভাবে সরকারের অনুকূলে সমতল রাখার যাবতীয় বন্দোবস্ত করছে নির্বাচন কমিশন
তিনি বলেন, সময় অত্যাসন্ন, যে কারাগার অন্যের জন্য তৈরী করা হয় সেই কারাগারে নিজেদেরকে ঢুকতে হয়, এটাকেই বলে প্রকৃতির প্রতিশোধ। নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেদেরকেই পড়তে হয়, এ বিষয়টি ভাবার জন্যও ক্ষমতাসীনদের অনুরোধ করছি। আসলে স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আওয়ামী লীগ একসাথে চলতে পারে না। অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তিসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিয়ে দেশের সংকট সমাধান করুন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি মেনে নিন। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ ও প্রচারে সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করুন।
আওয়ামী লীগ সংবিধান লঙ্ঘন করেই চলেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সংবিধানের বাইরে যাবেন না বলে প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী ও মহাজোটের নেতারা মুখস্থ কথাই আউড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু নিজেরাই একের পর এক সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। মন্ত্রী ও অন্যান্য সাংবিধানিক পদধারিরা পদত্যাগ পত্র জমা দিলেও তা কার্যকর হয়নি। সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক কোন পদে আসীন ব্যক্তি অথবা কোন মন্ত্রী প্রেসিডেন্টের বরাবরে প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেয়ার সাথে সাথে সেটি কার্যকর হয়। এক্ষেত্রে চাকুরীজীবিদের মতো পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা বা না করার কোন বিধান নেই। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেন, কিন্তু আবার দায়িত্বও পালন করে যাচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ্য হওয়ার আগেই তাকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. শাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ