Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যানার ফেস্টুন ও বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ ইসির

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা খরচ হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


শুক্রবারের মধ্যে সব ধরনের অবৈধ নির্বাচনী প্রচার উপকরণ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, ডিসপ্লে, বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশনার এবং সিটি ও পৌর প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা-সাভারসহ সারাদেশে সরকার দলীয় প্রার্থীদের অবৈধ নির্বাচনী প্রচার উপকরণ থাকলেও তা অপসারণ করা হয়নি। অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মিিিছল করেছে সরকারি দল। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন,মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে আজ ইসি সচিবালয় থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ। সে জন্য আগামী সাত দিনের মধ্য জেলা, উপজেলা এবং সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় যেখানে পোস্টার, ব্যানার, গেট, তোরণ এবং আলোকসজ্জা আছে, সেগুলো অপসারণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এবং পৌরসভার মেয়রদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী যদি তাঁর প্রচার উপকরণ অপসারণ না করেন তবে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হবেন এবং আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিব বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারবেন। এর আগ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না। এ বিষয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে আজ চিঠি পাঠানো হবে। যেসব জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে চায়, তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য আগামী তিন দিনের মধ্যে ইসিকে জানাতে হবে।
সচিব বলেন, অনিবন্ধিত কোনো দল নিবন্ধিত কোনো দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে ইসির কিছু করার থাকবে না। এই বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা নেই। হেলালুদ্দীন বলেন, আগামী রোববার থেকে অনলাইনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। প্রার্থীরা চাইলে অনলাইন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করতে পারবেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি ১০ টাকার বেশি খরচ না করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একটি সংসদীয় আসনে অনেক ভোটার হলেও ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করা যাবে না। দল থেকে পাওয়া অনুদান মিলে এই টাকার মধ্যেই নির্বাচনী ব্যয় শেষ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ইসি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে এ নিদেশনা পাঠানো হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী এই নির্দেশনা গতকাল মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের ভোটারদের টাকা দেয়া ও আপ্যায়ন করার প্রতি বিধি নিষেধ রয়েছে। তবে প্রার্থীরা এই টাকা নির্বাচনী প্রচার যেমন পোষ্টার, মাইকিং ও অন্যান্য খাতে ব্যয় করতে পারবেন। নির্বাচনে আরপিওর কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে প্রার্থীতা বাতিল করারও বিধান রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে রিটার্নিং ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন
সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনিবন্ধিত দলের সদস্যরা নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হতে পারবেন। অনিবন্ধিতরা নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করতে পারবেন না। কিন্তু নিবন্ধিত দল চাইলে অনিবন্ধিত দলের সদস্যদের তাদের প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ডা. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, একিএম বদরুদ্দোজার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মধ্যে যারা নিবন্ধিত দলের সদস্য নন, তারা নিবন্ধিত দলগুলোর প্রার্থী হতে পারবেন।
এছাড়াও অনিবন্ধিতদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ‘আইন নেই’ বলেও মন্তব্য করেন ইসি সচিব। দলের প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে সংশ্লিষ্ট দলের ন্যূনতম তিন বছর সদস্য থাকার বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ থেকে ২০১৩ সালে তুলে দেয়ায় এমন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বর্তমানে বিভিন্ন জোটের অনিবন্ধিত দলগুলোর পরিচিত নেতারা বড় কোনো দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, স¤প্রতি নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতারদেরও বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকছে। জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, দলটির সদস্য থাকা অবস্থায় কেউ যদি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে চায়, সিটা বন্ধ করার কোনো উপায় আছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এমন কোনো আইন নেই। এই অবস্থায় জামায়াতের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করতে পারবেন। এদিকে সব ধরনের অবৈধ নির্বাচনী প্রচার উপকরণ ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, ডিসপ্লে, বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন সচিব। কিন্তু গতকাল রাত পর্যন্ত রাজধানী ডাকা ও সাভারসহ বিভিন্ন নির্বাচন এলাকায় সরকারি অবৈধ নির্বাচনী প্রচার উপকরণ অপসারণ হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ