Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরি সোনা আমি...

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত নিহত গৃহবধুর নাম সাবিনা ইয়াসমিন নিগার (২০)। গতকাল শুক্রবার সকাল আনুমানিক ১০টার সময় উপজেলার ছোট দারোগারহাট এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলার ২নং বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের প‚র্ব লালানগর গ্রামের মোঃ জহিরুল ইসলাম বাবুলের মেয়ে ও মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বালিয়াদী গ্রামের মো. সরোয়ার উদ্দিন রাসেলের স্ত্রী। এদিকে হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয় তার স্বামীকে। 

এ বিষয়ে নিগারের স্বামী রাসেল বলেন, সীতাকুন্ড এলাকার একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারীর সঙ্গে নিগারের সম্পর্ক রয়েছে বলে ওই কর্মচারীর স্ত্রী আমাকে ফোন করে অভিযোগ করেছিলেন। আমি বিষয়টি জানিয়ে নিগারকে এ সম্পর্ক না রাখার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সে ডাক্তার দেখাতে আসলেও তাকে ঘরে চলে যেতে বলি। রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় আমি চিন্তায় পড়ে যাই এবং তার মাকে বারবার ফোন করে মেয়ের খবর নিতে বলি।
নিগারের স্বামী আরো বলেন, এর পর নিগারের সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি। ভোর রাতে নামাজ পড়তে উঠে মোবাইলে তার পাঠানো একটি এসএমএস দেখতে পাই। তাতে লেখা ‘সরি সোনা আমি আর তোমার থাকতে পারলাম না’। আর সকালেই শুনতে পাই তার লাশ পাওয়া গেছে।
নিগারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলামের পাঁচ সন্তানের মধ্যে নিগার সবচেয়ে ছোট মেয়ে। তিনি সীতাকুন্ড ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শিক্ষার্থী। ছয় মাস আগে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বালিয়াদী ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সরোয়ার উদ্দিন রাসেলের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু তারা তুলে নেননি তাকে। ফলে বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। মৃত্যুর সময় তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃস্বত্ত¡া ছিলেন। তাই মাঝে মধ্যে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শের জন্য যেতেন।
নিগারের মা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হয় নিগার। এরপর আর সে ফিরে আসেনি। রাত ৮টার পর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পেয়ে তার স্বামী রাসেল বেশ কয়েকবার আমার কাছে ফোন করে। আমরাও মোবাইলটি বন্ধ পাই।
সীতাকুন্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহা বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। পাশাপাশি কি করে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে তা তদন্ত করছি। নিগার বিবাহিত। তার দাম্পত্য জীবন কেমন ছিল এবং অন্য কারো সঙ্গে কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কি-না বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। আশা করছি অতি শিগগির খুনি ধরা পড়বে।
সীতাকুন্ড থানার ওসি (অপারেশন) জাব্বারুল বলেন, আমরা স্বামীর দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক কি-না তাও যাচাই বাছাই করছি। কোনো সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ