নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিলেট টেস্টে যেখানে জিম্বাবুয়ের ধারহীন বোলিংয়ে খাবি খেয়েছে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানরা, স্রোতের বীপরিতে অভিজ্ঞদের মত ব্যাট চালিয়েছেন একজন, অভিষিক্ত আরিফুল হক। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে দলের চৌহদ্দিতে ঘোরাফেরা করছেন এই বছরের শুরু থেকেই। কিন্তু জায়গাটা পাকা করতে পারেননি এখনো। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ওয়ানডে দলে অনেকে সুযোগ পেলেও তার জায়গা হয়নি। টেস্ট সিরিজে অবশেষে সুযোগ পেয়েই বাংলাদেশের অন্ধকার দুই রাতে যা একটু আলো ছড়িয়েছেন এই ব্যাটসম্যানই। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। পরের ইনিংসে পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮। দলের সেরা পারফরমার হয়েও অভিষেক টেস্টকে ভুলে যেতে চান এই ব্যাটম্যান! বরং স্বল্প এই অর্জনের আত্মতুষ্টিতে গা না ভাসিয়ে এগিয়ে যেতে চান আরো বহুদূর।
দুই ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের আত্মাহুতির মিছিলে একমাত্র আরিফুলই উইকেটটা দিয়ে আসেননি। এমনকি তার ব্যাটিং দেখেও মনে হয়নি, প্রথম টেস্ট খেলছেন। গতকাল মিরপুরে অনুশীলনের আগে বলেছেন, সিলেট টেস্ট থেকে যে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন তা কাজে লাগাতে চান, ‘প্রথম টেস্ট ভালই গিয়েছে আসলে। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বোলাররা বাজে বল দেবে না, ওভাবেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। যেটা বোঝা দরকার, খেললে যে চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনে, সেটা আমার হয়েছে।’
তবে সাকিব আল হাসান দলে এলে তার জায়গা পড়ে যেতে পারে সংশয়ে। সেটা হতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই। আরিফুল অবশ্য সব ভুলে তাকাতে চান সামনে, ‘এটা আমার হাতে নেই, কোন ম্যাচে আমি খেলবো কোন ম্যাচে খেলব না। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবো। নিজের কাজটা করে যাব কীভাবে ভাল করা যায়। রান করেছি, ওটা ভুলে গেছি। সামনে কীভাবে ভাল করা যায় সেটাই মূল ভাবনা।’ টেস্ট ক্রিকেট তার অনেক দিনের স্বপ্ন, তা আগেও বলেছেন। গতকাল বললেন আরও একবার, ‘আমার আসলে স্বপ্ন ছিল টেস্ট খেলার। আমি চাই যে দীর্ঘদিন টেস্ট খেলতে বা ন্যাশনাল টিমে থাকার জন্য। সব ফরম্যাটেই খেলার ইচ্ছা..আমার ইচ্ছা থাকে যে ফরম্যাটে যেভাবে খেলা দরকার ওভাবেই খেলার চেষ্টা করবো।’
এই বছর জাতীয় দলের সঙ্গে থাকলেও খেলার সুযোগ তেমন হয়নি। তবে ড্রেসিংরুমের এই অভিজ্ঞতাও বড় করে দেখছেন আরিফুল, ‘যদি নাও খেলেন জাতীয় দলে থাকলে অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। বড় টিমের সাথে খেলা বা বড় বড় খেলোয়াড়দের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা এটাতে বুঝতে অনেক সুবিধা হয়। বড় ভাইরা যখন কিছু বলেন সেটা কাজে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচ কেমন বা কী রকম।’
কিন্তু সিলেট টেস্টের দুই ইনিংসেই শেষের দিকে কিছুটা সঙ্গ পেলে ফিফটি পেতে পারতেন। এই ব্যাপারটা কি আক্ষেপে পোড়ায় না তাকে! আরিফুল অবশ্য সঙ্গীদের দোষ দেখছেন না, ‘আমি বিসিএলে জাতীয় লিগে টেলএন্ডারদের নিয়েই বেশিরভাগ সময় ব্যাটিং করি। ওই সময় প্ল্যান অন্যরকম থাকে। ৪টা বল খেলতে তাকে একটা-দ্টুা বল দেয়ার থাকে। টেলএন্ডারদের কাছে ওভাবে আশাও করতে পারেন না। তারাও চেষ্টা করছিল আমাকে সুযোগ (স্ট্রাইক) দেয়ার। ৪-৫টা বল হয়তো আমি খেলব। একটা-দুইটা তাদের দেব। কিন্তু, ভাগ্য সবসময় আপনার হাতে থাকে না।’
ঢাকা টেস্টে আরিফুল সেই সুযোগটা নিশ্চয়ই আরও ভালোমতো কাজে লাগাতে চাইবেন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।