Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

১০ দিন হলেও রাস্তায় ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা মায়ের খোঁজ নেয়নি কেউ

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:০৫ পিএম

মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকের পাড়ের রাস্তায় গভীর রাতে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধা মা জোবেদা খাতুন (৭০) ১০ দিন হতে চললেও কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় বেডে ঘুমন্ত অবস্থায় আছেন।
জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর গভীর রাতে তার সন্তানরা মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকের উত্তর পাড়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরের দিন ১ নভেম্বর সকালে সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী বিলাশ হালদার ও মেহেদী ইসলাম হাটার সময় বৃদ্ধাকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখে হাতে-মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় এক বৃদ্ধা পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তারা বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঐ বৃদ্ধা প্রথম দিন নিজের নাম আর সন্তান-বউ মিলে ফেলে রেখে যাওয়ার কথাটুকুই শুধু বলতে পেরেছিল। স্বামীর নাম অজয় মল্লিক, ছেলেদের নাম আলমগীর ও সোবাহান বলেছিল। তারপর থেকে আর কথা বলতে পারছে না। কিছুটা স্মৃতিশক্তি হারিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বৃদ্ধা। হাসপাতালে ভর্ভির পরে মাঝে মধ্যে ইশারা দিয়ে কথা বললেও শুক্রবার সকাল থেকে কোন সাড়া শব্দ নেই তার। হাসপাতালের বেডে ঘুমিয়ে আছেন।
হাসপাতালে পারভিন নামের এক নার্স জানান, যখন বৃদ্ধা মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তার চেয়ে এখন শারীরিক অবস্থা একটু ভালো। ভর্তির পরে একদিন স্বামীর নাম অজয় মল্লিক, ছেলেদের নাম আলমগীর ও সোবাহান বলেছিল। বাড়ি কোথায় তা বলেনি। এর পর থেকে আর কথা বলেনি। ইশারা দিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু বলার চেষ্টা করে। শুক্রবার সকাল থেকে কোন ইশারাও দিচ্ছে না।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. ফরিদ উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে। শারীরিক অবস্থা পূর্বের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও শুক্রবার সকাল থেকে আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে। আমরা সঠিকভাবেই তার চিকিৎসা চালাচ্ছি। পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, এখনো বৃদ্ধার পরিচিত কেউ আসেনি। তার সন্তানরা যদি এখনোও তার মাকে নিয়ে গিয়ে সেবা-যতœ করতে চায়, আমাদের কোন অভিযোগ নেই। এছাড়া যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি বর্তমানেও বৃদ্ধাকে নিতে চায়, তাহলে তাদের জিম্মায় দেয়া হবে। আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।’ উল্লেখ্য এ ঘটনা নিয়ে ইতিপুর্বে দৈনিক ইনকিলাবে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ