বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : দুই ছেলেকে মিথ্যা মানব পাচার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বৃদ্ধা মা। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়–খালী গ্রামের অমেদ আলীর স্ত্রী রাহিলা বেগম এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাহিলা বেগমের দৌহিত্র রুনা পারভীন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ১৮ এপ্রিল ১৬‘ সাতক্ষীরার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার ছেলে আব্দুর রহিম মোড়ল ও রহমত মোড়লের বিরুদ্ধে ‘মেয়েকে ডর্জানে পাচার প্রতিকারে মামলা করায় পাল্টা মামলা ঘাড়ে চেপেছে কৃষক ফজর আলীর’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ওই সংবাদে বলা হয়েছে, তার ছেলেদের বিরুদ্ধে জনৈক ফজর আলী গত ২৬ মে ২০১৫ তারিখে আদালতে মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেছেন। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হলো- ফজর আলী তার মেয়ে রেহানাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে পাসপোর্ট করে। ১৩/১১/২০১৪ তারিখে তার মেয়েকে রাজধানীর সরকারি ফজিলাতুন্নেছা মহিলা টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর অধীনে এক মাসের কোর্সে ভর্তি করে। ওই ট্রেনিং সেন্টারে তার রোল ছিল ৬২, ব্যাচ নং- ১১৬১ ই, সার্টিফিকেট নং- ৭৫১৯১, সার্টিফিকেট ইস্যু- ১৩/১১/২০১৪। গত ১৩/৪/২০১৫ তারিখে তার পাসপোর্টে জনশক্তি ব্যুরো ম্যানপাওয়ার সিল মারে। এবং মেডিকেলসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে গত ২১/৪/২০১৫ তারিখে সে ইতিহাদ এয়ারওয়েজে চড়ে জর্ডানে যায়। তার সিট নং ছিল ইওয়াই ০২৫৩। ফজর আলী তার মেয়েকে সুপরিকল্পতিভাবে জর্ডানে পাঠিয়ে তার ছেলেদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে। যা মিথ্যা ও বানোয়াট। মিথ্যা মামলা ঘাড়ে নিয়ে তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এছাড়া আরো উল্লেখ করা প্রয়োজন, আব্দুর রহিম হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক। তার কাছে ফজর আলী চিকিৎসার জন্য আসতো। মূলত সেই সূত্রেই পরিচয়। আমার দুই ছেলে ভোমরায় জমি কেনার জন্য ফজর আলীকে ৬০ হাজার টাকা মৌখিক বানয়া দেয়। পরে ওই টাকা ফেরত দিবে না বলে সে তার মেয়েকে পাচারের মিথ্যা মামলা করে আমার ছেলেদের হয়রানি করে। তার মেয়ের জর্ডানে যাওয়ার বিষয়ে আমার ছেলেরা কিছুই জানে না। এছাড়া পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে ফজর আলীর নামে মামলার যে কথা বলা হয়েছে, তা কারা করেছে তাও আমরা জানি না। এবং তার বাড়িতে যেয়ে মীমাংসা বা মামলা তুলে নেয়ার যে কথা বলা হয়েছে, তাও ঠিক নয়। আমরা কখনই তার বাড়িতে যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে যেয়ে মানুষের সাথে বলা বলে, তদন্ত করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার আহবান জানান। একই সাথে মাননীয় পুলিশ সুপারের কাছে তার ছেলেদের মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।