পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
দুই বছর আগে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেট্রয়েট শহরের একটি সভায় ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন। শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন ১২ জন নারী। তারা প্রত্যেকে কিছুক্ষণ পরপর দাঁড়িয়ে কর্মক্ষেত্রে নারীর বিরুদ্ধে সংঘটিত যৌন সহিংসতার বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান জানতে চাইছিলেন। ট্রাম্প সমর্থকদের দুয়োধ্বনির মধ্য দিয়ে এক এক করে তাদের সবাইকেই সভাস্থল থেকে বের করে দেয় নিরাপত্তা কর্মীরা। ওই নারীদের একজন ছিলেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আইনজীবী ও সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য রাশিদা তালিব। ওই ঘটনার ঠিক দুই বছর পর তালিব ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন নিশ্চিত করেই ইতিহাস গড়েছিলেন। আর মঙ্গলবার তিনি প্রথম দুই মুসলিম নারীর একজন হিসেবে কংগ্রেসে স্থান করে নিয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি প্রথম মুসলিম নারী হিসাবে মিশিগান রাজ্য পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি জানান, মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা নিষিদ্ধ করাসহ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কিছু রীতির বিরোধিতা করার জন্যই তিনি কংগ্রেস নির্বাচনের দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। এবিসি টিভিকে তালেব বলেন, ‘ইতিহাস রচনার জন্য আমি নির্বাচন করিনি, আমি অবিচারের কারণে নির্বাচন করেছি। আমাদের ছেলেদের জন্য করেছি যাদের মনে তাদের মুসলিম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তারা বুঝতে পারছে না তাদের অবস্থান কোথায়। আমি কখনই দূরে দাঁড়িয়ে দেখার মানুষ নই।’ ডেট্রয়েটের কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে রাশিদা নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের প্রতি সোচ্চার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে রাশিদা তালিব বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের অবস্থার উন্নতির জন্য সব দিক থেকে কাজ করব। শুধু সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়, সকল নিপীড়ন ও বর্ণবাদী কাঠামোর বিরুদ্ধে আমি আপনাদের পক্ষে লড়াই করব। কারণ আজকের যে পরিস্থিতি তার চেয়ে আরও ভালো পরিবেশ পাওনা আপনাদের।’ ট্রাম্পকে গুন্ডা আখ্যা দিয়ে তালিব বলেছিলেন, ‘তিনি আমার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত কি না আমি জানি না।’ তালেব জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের মুসলমানবিরোধী প্রচারণা এবং নারীর বিষয়ে করা তার মন্তব্য নারীদের, বিশেষ করে মুসলমান নারীদের মধ্যে উচ্চপদে আসীন হওয়ার তাড়না তৈরি করেছে। বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়াটা যুক্তরাষ্ট্রের বহু নারীর জন্য একটি খারাপ বিষয় ছিল। শুধু মুসলমান নারী নন, সকল ক্ষেত্রের নারীরাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে একমত।’ সংশ্লিষ্টরা বিশ্বাস করেন, রাশিদা তালিবের বিজয় নতুন প্রজন্মের মুসলমানদের, বিশেষ করে মুসলমান নারীদের পরিবর্তন সূচিত করার বিষয়ে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করবে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাশিদা তালেব মিসিগান অঙ্গরাজ্যের একটি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। তার জন্ম এই রাজ্যেরই রাজধানী শহর ডেট্রয়েটের দরিদ্র, খেটে খাওয়া এক অভিবাসী ফিলিস্তিনি পরিবারে। ৪২ বছরের তালেব ১৪ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।